প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৫, ২০:৫৩
জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও অংশগ্রহণকারীদের স্মরণে অনলাইন স্মরণ সভার আয়োজন করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। ৩০ জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে “জুলাই জাগরণে” শীর্ষক এই স্মরণসভা জুম প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জুলাইয়ের আন্দোলন কোনো ব্যক্তিগত ক্ষোভ নয়, বরং এটি একটি বৈষম্যভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণজাগরণ। বক্তারা আন্দোলনের তাৎপর্য ও শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন গ্রিন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন (বিএন) শেখ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, এই আন্দোলনের মূল চালিকা শক্তি ছিল বৈষম্যবিরোধী চেতনা, যা আগামী দিনে সমাজ বদলের প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।
তিনি তার বক্তব্যে বিশেষভাবে তুলে ধরেন যে, গ্রিন ইউনিভার্সিটিই প্রথম কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির কার্যকর উদ্যোগেই আন্দোলনের শুরুতেই বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকে নিরাপদে কারামুক্ত করা সম্ভব হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ মিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খাইরুল আলম, প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া সম্পাদক রিয়াজ মাহমুদ মিঠু, সদস্য আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হানুল ইসলাম, মেজর (অব.) মো. রিপুনুজ্জামান ও সাজিব রায়হানসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, শহীদরা যে মূল্যবোধের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন তা আজও প্রাসঙ্গিক। তাঁদের রক্ত দিয়ে লেখা ইতিহাস আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই কখনো থেমে থাকে না।
সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ মিরাজ জানান, আন্দোলনের সময় অ্যালামনাই সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত আইনজীবী প্যানেল প্রায় শতাধিক সদস্য নিয়ে তাৎক্ষণিক আইনি সহায়তা দিয়েছে। এই উদ্যোগ আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, এই স্মরণ সভা একটি ছোট উদ্যোগ হলেও ভবিষ্যতে বড় পরিসরে দিবসটি উদযাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগ যেনো জাতীয় ইতিহাসে যথাযথ মর্যাদা পায়, সেই চেষ্টাই থাকবে সকলের।