স্বাধীনতার লড়াইয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা রিমা হাসানের

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সংগ্রামে এক নতুন বার্তা দিলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ও ফ্রান্সের রাজনীতিবিদ রিমা হাসান। তিনি জানিয়েছেন, স্বাধীনতা অর্জনে শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত তারা হার মানবেন না। এই প্রতিজ্ঞা এসেছে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় অংশ নিয়ে, যা বর্তমানে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে।

রিমা হাসান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বিশ্ব অর্থনীতি অচল করে দেওয়ার ডাক দিয়েছেন। একই সঙ্গে ইসরাইলকে ঠেকাতে এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদের আহ্বান জানান তিনি। তার মতে, ন্যায়বিচারের জন্য বিশ্বকে একসাথে দাঁড়াতে হবে।

পোস্টের সঙ্গে তিনি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে দেখা যায়, রিমা ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময় তার অবস্থান ছিল গাজার খুব কাছাকাছি। তবে বহরে থাকা তার জাহাজটি ইসরাইলি হামলার মুখে পড়ে এবং জব্দ করা হয়।

এই ঘটনার পরও রিমা তার অবস্থান থেকে সরে আসেননি। তিনি বলেন, গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একই সঙ্গে তিনি ফ্লোটিলা মিশন শেষ করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে আহ্বান জানান।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা হলো গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। এতে রয়েছে ৪০টিরও বেশি বেসামরিক নৌযান। প্রায় ৪৪টি দেশের প্রতিনিধিরা এই বহরে অংশ নিয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন আইনজীবী, চিকিৎসক, অধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা।

এই বহরের প্রথম নৌযান যাত্রা শুরু করে গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে। এরপর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তিউনিসিয়া, ইতালি ও গ্রিস থেকে আরও কয়েকটি জাহাজ বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে পুরো বহরে রয়েছে ৪০টিরও বেশি জাহাজ।

ইসরাইল শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে যে এই বহরের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের যোগাযোগ রয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি তারা। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে ইসরাইলের এই দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

বহরটি যদি যাত্রাপথে কোনো বাধার মুখে না পড়ত, তাহলে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে গাজায় পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে ইসরাইলি বাধার কারণে এই মানবিক সহায়তা মিশন নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।

এই পুরো প্রক্রিয়ায় রিমা হাসানের বার্তা আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে আলোড়ন তুলেছে। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়েছেন, গাজায় চলমান গণহত্যা থামাতে বিশ্বকে জেগে উঠতেই হবে।