প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৯
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
যুক্তরাষ্ট্রে হঠাৎ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত শতাধিক জেনারেল ও অ্যাডমিরালকে জরুরি ভিত্তিতে ভার্জিনিয়ায় ডাকা হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ তাদের এক বৈঠকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন, তবে বৈঠকের উদ্দেশ্য বা এজেন্ডা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। আল জাজিরা শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল বৃহস্পতিবার। পরে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল বৈঠকের খবর নিশ্চিত করেন। তবে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের হঠাৎ ডাকা হয়েছে বা বৈঠকে কী আলোচনা হবে, তা স্পষ্ট করেননি প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
প্রায় ৮০০ জেনারেল ও অ্যাডমিরাল আছেন মার্কিন সেনাবাহিনীতে। তাদের মধ্যে অনেকে হাজার হাজার সেনার দায়িত্বে আছেন এবং অনেকেই সংবেদনশীল বিদেশি ঘাঁটিতে কর্মরত। সাধারণত এ ধরনের কর্মকর্তাদের সময়সূচি কয়েক সপ্তাহ আগে নির্ধারিত হয়। হঠাৎ এই সমাবেশের সিদ্ধান্তের কারণে অনেকেই তাদের পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এক সামরিক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, সবাই ভাবছেন বৈঠকে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক কি না। পেন্টাগনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের শুরুতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখবেন। এটি ছিল অস্বাভাবিক হলেও প্রশাসনের অভ্যন্তরে এটি গুরুত্ব বহন করে।
হোয়াইট হাউসে বৃহস্পতিবার এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈঠককে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করার কথা জানান। তিনি বলেন, আমি এটা ভালোবাসি এবং জেনারেল ও অ্যাডমিরালদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা ভালো। ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তার কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেওয়া নিয়ে তৈরি হওয়া উদ্বেগকে তেমন গুরুত্ব দেননি।
ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও এ সমালোচনাকে গুরুত্বহীন হিসেবে দেখেছেন। তিনি বলেন, যেসব জেনারেল প্রতিরক্ষামন্ত্রীর অধীনে কাজ করেন, তাদের সঙ্গে দেখা করা অস্বাভাবিক নয়। সাংবাদিকরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও এটি স্বাভাবিক ঘটনা।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প ও হেগসেথ প্রতিরক্ষা দপ্তরে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। এর অংশ হিসেবে যৌথ বাহিনী প্রধানসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা বরখাস্ত হয়েছেন। মে মাসে চার-তারকা জেনারেলের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমানোর নির্দেশ দেন ট্রাম্প, পাশাপাশি পুরো সেনাবাহিনীতে জেনারেল ও ফ্ল্যাগ অফিসারের সংখ্যা ১০ শতাংশ হ্রাসের ঘোষণা আসে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ বহুত্ববাদ বা বৈচিত্র্য বিষয়ক উদ্যোগ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। তার মতে, সেনাবাহিনীকে প্রাণঘাতী শক্তি বৃদ্ধি ও যোদ্ধা মনোভাব পুনরুদ্ধারে মনোযোগ দিতে হবে। এছাড়া চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প প্রতিরক্ষা দপ্তরকে ‘ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার’ বা যুদ্ধ দপ্তর হিসেবে উল্লেখ করার নীতি ঘোষণা করেছেন, যা স্থায়ী করতে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।