প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:৫৯
আগামী ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে সরকারি হস্তক্ষেপ হলে বিসিবি ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতা ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের হয়ে বিসিবির কাউন্সিলর পদ প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
ইশরাক হোসেন বলেন, নির্বাচনে যদি সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধ না হয় তবে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিসিবি ঘেরাও করা হবে এবং রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা প্রতিটি প্রার্থীর মৌলিক অধিকার।
এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, বিসিবি সভাপতি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক জেলা ও বিভাগে নিজেদের পছন্দমতো কাউন্সিলর মনোনীত করতে চাচ্ছেন। মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া পরিষদ ও বিসিবির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কাউন্সিলর মনোনয়ন সংগ্রহ শেষে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি গ্রহণ ও শুনানি শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা হবে।
২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে। ২৮ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের পর বাছাই ও তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৯ সেপ্টেম্বর। আপিল গ্রহণ, শুনানি, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ও যাচাই-বাছাই শেষে ১ অক্টোবর বেলা ২টায় চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে বিসিবি নির্বাচনের তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন।
১ অক্টোবর বিকাল ৪টায় পোস্টাল ও ই-ব্যালটন বিসিবি ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। ভোটাররা ৬ অক্টোবর দুপুর ২টার মধ্যে তা ডাকযোগে অথবা ই-মেইলে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে পাঠাতে পারবেন।
এই নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। এছাড়া আছেন পুলিশের সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি সিবগাত উল্লাহ এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব)।
নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কমিশন কঠোরভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ও রাজনৈতিক চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বচ্ছ ও ন্যায়সংগত ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য।