প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের পাগলাবাজার এলাকার বাঘেরকোনা নামক স্থানে একটি সিএনজি অটোরিকশা ও পিকআপ ভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ দুর্ঘটনায় মা-মেয়ে এবং সিএনজি চালক নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন আবাদিত কেশবা প্রিয়া (৪০), তার মেয়ে প্রথমা চৌধুরী, এবং সিএনজি চালক সজল ঘোষ। প্রিয়া ও তার পরিবার মূলত হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার নবীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাদের মৃত্যু স্থানীয় জনসাধারণ ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া ফেলেছে।
স্থানীয় পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, সিএনজি সুনামগঞ্জগামী অবস্থায় পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের প্রাথমিক প্রভাবে ঘটনাস্থলেই প্রিয়া ও সজল ঘোষের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমা চৌধুরীকে শান্তিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আহাদ জানান, দুর্ঘটনার পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ চালায়। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চেষ্টাও চালাচ্ছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পিকআপ ভ্যানের চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে এবং দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেছে।
দুর্ঘটনার কারণে সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কের ওই অংশে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল ব্যাহত হয়। স্থানীয় মানুষ ও পথচারীরা সংঘর্ষের দৃশ্য দেখে শঙ্কিত হয়েছেন। কর্মকর্তারা সবাইকে সচেতন হতে এবং সড়কে নিরাপদ গতিসীমা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
শান্তিগঞ্জের এই দুর্ঘটনা আবারও সড়ক নিরাপত্তার গুরুত্বকে সামনে এনেছে। এলাকাবাসী আশা করছে, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রশাসন আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দুর্ঘটনার পরিমাণ কমাতে সচেষ্ট রয়েছেন।