প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৭
পাকিস্তানের স্পিজেন্ড এলাকায় মঙ্গলবার সকালে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনকে লক্ষ্য করে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১২ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। রেলওয়েতে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার কারণে ট্রেনের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে এবং একটি বগি উল্টে যাওয়ার ফলে যাত্রীরা আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কোয়েটাগামী ট্রেনটি স্পিজেন্ড এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় ট্র্যাকে লাগানো একটি বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরিত হয়। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্থানান্তর করে।
রেল কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, বিস্ফোরণের সময় ট্রেনটিতে প্রায় ২৭০ জন যাত্রী ছিলেন। তারা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ট্র্যাক মেরামতের জন্য নিরাপত্তা ছাড়পত্রের পর আগামী দিনে কাজ শুরু হবে এবং এই সময়ে ট্রেন চলাচল স্থগিত থাকবে।
এদিন স্পিজেন্ড এলাকায় এটি একই দিনে দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ঘটনা। ভোরে বেলুচিস্তানের প্রধান ট্র্যাকের কাছে একটি বিস্ফোরণ ঘটে, যা দেশটির অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রেলপথে সংঘটিত হয়। সেই সময়ে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস কোয়েটা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, ফলে কিছুক্ষণের জন্য ট্রেন থামানো হয়।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে এবং সম্ভাব্য নতুন হামলার আশঙ্কায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ ও রেলওয়ে কর্মকর্তারা যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের ফলে রেল যোগাযোগে বিরাট সমস্যা দেখা দিয়েছে। ট্রেন চলাচল পুনরায় স্বাভাবিক করতে এবং ট্র্যাক মেরামত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আহতদের স্বাস্থ্যগত অবস্থার খবর এখনও আপডেট করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, রেলপথে হামলা দেশের রেল যোগাযোগ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। তারা আশা করছেন, স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।
এই হামলার ঘটনা পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানানো হয়েছে।