প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৮
ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ পরিষদের বৈঠকের আগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এই স্বীকৃতি দেয় দেশটি। ফিলিস্তিন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সমর্থন বাড়াতে ফ্রান্সের এই পদক্ষেপ নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
ফ্রান্সের স্বীকৃতির ফলে বিশ্বমঞ্চে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র স্বীকৃতির সংখ্যা আরও বেড়ে গেল। এর আগে আন্দোরা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মনাকো, যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং সান মারিনোসহ বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া সর্বশেষ দেশ হলো ফ্রান্স।
এই সময়ে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। ফ্রান্সের স্বীকৃতির দিন ভোরে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই গাজা শহরের বাসিন্দা। এই প্রেক্ষাপটে ফ্রান্সের পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক ভিডিও বার্তায় জানান, মধ্যপ্রাচ্যের আল-আকসা অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানই ফ্রান্সের একমাত্র দাবি। তিনি বলেন, দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক স্বীকৃতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানই এই সংকটের সমাধানের পথ।
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, ফ্রান্স চায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন একে অপরকে স্বীকৃতি দিক। পাশাপাশি দু’টি রাষ্ট্রের ভিত্তিতেই শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে পারে।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফ্রান্স তার দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক অবস্থান আরও সুদৃঢ় করল। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থনও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মিলনায়তনে শুরু হচ্ছে বৈশ্বিক সম্মেলন। ফ্রান্স ও সৌদি আরবের আয়োজনে এই সম্মেলনে ফিলিস্তিনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমর্থন আরও সুদৃঢ় করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।