ভারতের মুদ্রা রুপির দরপতন অব্যাহত রয়েছে, যা নতুন একটি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ডলারের বিপরীতে এক রুপি ৮৫ দশমিক শূন্য ৬-এ নেমে গেছে, যা ভারতীয় রুপির ইতিহাসে সর্বনিম্ন। এর আগে এই রেকর্ডটি ৮৪ দশমিক ৯০-এর কাছাকাছি ছিল।
দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই রুপির দরপতন শুরু হয়। একের পর এক রেকর্ড ভাঙতে ভাঙতে বৃহস্পতিবার তা ৮৫ টাকার সীমা ছাড়িয়ে যায়। গত মঙ্গলবার রুপির মূল্য ছিল ৮৪ দশমিক ৯০, পরবর্তী দিনে এটি বৃদ্ধি পেয়ে ৮৪ দশমিক ৯৫ এবং বুধবার ৮৪ দশমিক ৯৬ হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সব রেকর্ড ভেঙে রুপি ৮৫ টাকার নিচে নেমে আসে।
এই দরপতনের ফলে ভারতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের বাজারে। রুপির অস্থিরতার কারণে ভারতের শেয়ারবাজারেও পতন অব্যাহত রয়েছে। রুপির পতন শুধু বাজারেই নয়, সাধারণ মানুষের জীবনেও এর প্রভাব পড়ছে। আমদানি-রপ্তানি, বিদেশে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক খাতে খরচ বেড়ে গেছে, ফলে সাধারণ গ্রাহকদেরও এর খেসারত দিতে হচ্ছে।
খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রুপির এই পতনের মূল কারণ হিসেবে ভারতের সোনার আমদানির রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি এবং রপ্তানির পরিমাণ কমে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি হওয়ার প্রত্যাশা ছিল, তবে তা কমে ৫ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি। এই শ্লথ প্রবৃদ্ধি রুপির মানকে আরো কমিয়ে দিয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন, আগামী কয়েক মাসে রুপির আরও পতন হতে পারে, যা ভারতের অর্থনীতির জন্য আরও চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে। রুপির মান কমে যাওয়ায় বিদেশি মুদ্রার চাপ এবং মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা বাড়ছে, যা সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।