অনেকে দই পছন্দ করেন কিন্তু টক দইকে এড়িয়ে যান। এখানেই হচ্ছে ভুল। মিষ্টি দইয়ের চেয়ে পুষ্টিতে এগিয়ে টক দই। চিকিৎসকরাও টক দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। টক দইয়ের প্রো-বায়োটিক উপাদান লিভারকে যেমন সুস্থ রাখে তেমনই খারাপ কোলেস্টেরলও রাখে নিয়ন্ত্রণে। শরীরের টক্সিন দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর টক দই। টক্সিন যতো দূর হবে সুস্থতার পথে ততই এগিয়ে থাকবেন আপনি।
এবার জেনে নিন চিনি ছাড়া টক দইয়ের কোন গুণ আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে-
* টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। বদহজম দূর করতেও সমানভাবে কাজে আসে টক দই।
* গুড কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়াতে ও খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে টক দইয়ের ভূমিকা অপরিসীম। ঘরে পাতা টক দই তাই প্রতিদিন রাখুন খাবারে। যার ফলে আপনার হৃদযন্ত্রও সুস্থ থাকবে।
* কম পানি খাওয়ার কারণে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায়। ক্ষতিকর টক্সিন জমা হয় শরীরে। রক্তের দূষণ সরাতে ও শরীরকে টক্সিন মুক্ত করতে তাই পর্যাপ্ত পানি ও টক দই রাখুন ডায়েটে।
* শরীরে টক্সিন কমার কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে টক দই।
* পেট খারাপের উপশম করে টক দই। পেট খারাপ মানে ডায়রিয়া, আমাশয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, ফুড পয়জনিং, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি। এগুলো দেখা দিলেই বার বার টক দই খাবেন।
* শরীরে তেল-মশলা থেকে টক্সিন জমে। তাই এখন থেকেই খান দই-শসার সালাদ।
* অনেকের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। কম ঘুমের কারণে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। এই রোগ এড়াতে ডায়েটে রাখুন টক দই।
* টক দইয়ে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, শরীর যখন প্রচুর ক্যালসিয়াম পায়, তখন তা ওজন কমাতে সাহায্য করে| আর যখন ক্যালসিয়াম পায় না, তখন শরীরে ফ্যাট জমতে থাকে| তাই ওজন কমাতে চাইলে টক দই খান।
* ক্যালসিয়াম থাকার কারণে দাঁত ও হাড়ের গঠন ও মুজবত করে টক দই।
* টক দই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে| তাই এই গরমে টক দই খেলে তাপমাত্রা সহ্যের ক্ষমতা বাড়বে।
* দুধ সহ্য হয় না অনেকেরই। তাই দুধের পুষ্টিগুণ হাতছাড়া না করতে চাইলে টক দইয়ে আস্থা রাখুন।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।