প্রকাশ: ৯ জুন ২০২৫, ১৯:১৪
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার কয়েকটি দেশে ফের করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার (৯ জুন) সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের সই করা এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন করে করোনার যে সাব ভেরিয়েন্টগুলো ছড়াচ্ছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অমিক্রনের এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১। এসব ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের হার বেশি থাকায় আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে দেশে পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য ডেস্কগুলোর কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বিশেষ করে থার্মাল স্ক্যানার ও নন টাচ থার্মোমিটারের মাধ্যমে যাত্রীদের তাপমাত্রা যাচাই করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই সরবরাহের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সংক্রমণপ্রবণ দেশগুলোতে অপ্রয়োজনে ভ্রমণ না করাই শ্রেয়। পাশাপাশি, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়।
সাধারণ মানুষের জন্যও কিছু নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর। যেমন—হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, মাস্ক ব্যবহার, হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা এবং আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরত্ব বজায় রাখা। চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সন্দেহজনক উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বা নিকটস্থ হাসপাতালে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখেরও বেশি মানুষ এবং মারা গেছেন প্রায় ৩০ হাজার। এই বাস্তবতায় নতুন করে সচেতন না হলে অতীতের মতো পরিস্থিতি আবার দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।