প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১১:৪৮
দেশে করোনা সংক্রমণ আবারো বাড়তে শুরু করেছে, যা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর উদ্বিগ্ন। এর প্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে কিছু নির্বাচিত হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষা পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেসব হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব আছে, সেগুলোতেই পরীক্ষার ব্যবস্থা হবে বলে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক হালিমুর রশীদ বলেন, ইতিমধ্যে যেসব হাসপাতাল পরীক্ষা শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদেরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এবং বিদেশি উৎস থেকে পরীক্ষার কিট সংগ্রহের কাজও চলছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু হবে, যদিও তা প্রথমদিকে সীমিত পরিসরে হবে।
পরীক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে যাদের উপসর্গ থাকবে তাদেরই সুযোগ পাবেন। শরীরে জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টসহ করোনার উপসর্গ থাকা রোগীদের জন্য পরীক্ষা চালু থাকবে। এছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শে যারা পরীক্ষা করাতে চান, তারাও এই সুবিধা পাবেন। যদি সংক্রমণের হার বাড়ে, তাহলে পরীক্ষা করার পরিধি বাড়ানোর সম্ভাবনাও থাকবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হওয়া উদ্বেগজনক বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ কারণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া বিমানবন্দরসহ দেশের সব প্রবেশপথে স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং অব্যাহত রাখা হয়েছে।
করোনা পরীক্ষা প্রথমদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহের হাসপাতালগুলোতে চালু করা হবে। পরীক্ষা শুধু যেসব হাসপাতালে আরটি-পিসিআর ল্যাব রয়েছে সেখানেই করা হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন, সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে পরিস্থিতি আবার হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। করোনার সংক্রমণ রোধে এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের সবাই ঢাকা মহানগরীর বাসিন্দা। তবে কেউ মারা যায়নি এবং সুস্থ হয়েছেন দুজন। এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ লাখের বেশি।