আগামীকাল শুক্রবার (৪ মার্চ) শুরু হচ্ছে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। যে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলছে বাংলাদেশ। তবে প্রথমদিন নেই টাইগ্রেসদের ম্যাচ। আট দলের আসর শেষ হবে ৩ এপ্রিল।
আট অধিনায়কের এই ছবিটা সপ্তাহখানেক আগের। করোনাকালে বিশ্বকাপ। তাই সব দলই অনেক আগে নিউজিল্যান্ড পৌঁছেছে। কোয়ারেন্টিন, অনুশীলন, প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে মূল বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত। এক মাসের আসর শেষে ট্রফিটা শোভা পাবে কেবল একজনের হাতেই।
চার বছর পর পর আসে বিশ্বকাপ। করোনায় ওলট-পালট জীবনে অপেক্ষাটা এক বছর বেশি। যে অপেক্ষায় তর সইছে না স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড অধিনায়ককে। তাউরাঙ্গার বে ওভালে উদ্বোধনী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিউই অধিনায়ক সোফি ডিভাইন বলেন, আমাদের আর তর সইছে না। অনেকদিন ধরে অপেক্ষায় আছি। অবশেষে তা শুরু হচ্ছে। দারুণ আনন্দিত আমরা।
৬ ভেন্যুতে ৩২ দিনে ৩১ ম্যাচ। যে আট দল খেলছে টুর্নামেন্টে তাদের মাত্র তিনটির আছে বিশ্বজয়ের অভিজ্ঞতা। অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বেশি ছয়বার, ইংল্যান্ড চার আর নিউজিল্যান্ডের একবারই সেটা ২০০০ সালে জিতেছে বিশ্বকাপ। ছয় আসর পর শ্রীলঙ্কার না থাকা যেমন অঘটন তেমনি বাংলাদেশের মেয়েদের প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলাটাও চমক।
করোনাকালে বাছাই পর্ব খেলেনি লঙ্কানরা। সেই মহামারীর কারণে নিয়মের পরিবর্তনও এনেছে আইসিসি। নয় জন সুস্থ থাকলেই খেলা চলবে।
বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৪ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এরপর একে একে সব দলের বিপক্ষেই খেলতে হবে নিগার সুলতানার নেতৃত্বাধীন ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকা দলটিকে।
ইংলিশরা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হলেও ফেভারিট অজিরা। গত পাঁচ বছরে ৩০ ওয়ানডের ২৬টিতে জিতেছে অস্ট্রলিয়ান নারীরা। এদিকে বিশ্বকাপের প্রাইজমানি দ্বিগুন করেছে আইসিসি। চ্যাম্পিয়নরা পাবে ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।