মিরাজ-আফিফ নৈপুন্যে অবিশ্বাস্য জয় টাইগারদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: বুধবার ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:২৪ অপরাহ্ন
মিরাজ-আফিফ নৈপুন্যে অবিশ্বাস্য জয় টাইগারদের

২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা মনে আছে নিশ্চয়! কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সেখান থেকেই ২২৪ রানের জুটি বেঁধে দলকে জিতিয়ে আনেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান। দুজনেই খেলেছিলেন শত রানের ইনিংস।


পাঁচ বছরের পুরনো সেই স্মৃতিকেই যেন ফেরালেন মেহেদী মিরাজ ও আফিফ হোসেন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ রানে যখন ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ, তখন ব্যাট করতে আসেন মেহেদী মিরাজ ও আফিফ হোসেন।


দুজনের অনবদ্য ব্যাটিং শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটের স্বস্তির জয় এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। দুজনে দলকে শুধু জেতাননি, বাংলাদেশের হয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছেন।


ব্যাট করতে নেমে আফগান পেসার ফজল হক ফারুকির তোপের মুখে পড়ে স্বাগতিক ব্যাটিং লাইন-আপ। ওপেনার লিটন দাসকে (১) তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ফেরান সাজঘরে। একই ওভারের পঞ্চম বলে তামিম ইকবালকে (৮) রানে ফেরান এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে।


তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা মুশফিকুর রহিমকে ৩ রানে বিদায় করেন ফারুকি। অভিষিক্ত ইয়াসির আলীকে রানের খাতা খোলার আগে বিদায় করেন বোল্ড করে। টপ-অর্ডারের চার ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল আফগানরা।


ইয়াসিরের বিদায়ের পর সাকিব আল হাসানকে ১০ রানে বোল্ড করে ফেরান মুজিব উর রহমান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হতাশ করেন রশিদ খানের বলে ৮ রান করে ক্যাচ দিয়ে।


এরপর তো জয়ের আশা নেমে আসে শুন্যের কোঠায়। তবে অসম্ভব বলে কিছু যে নেই সেটা প্রমাণ করে দেখালেন মিরাজ-আফিফ। ধুঁকতে থাকা দলকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান আফগান বোলারদের সামনে।


৬৭ বলে আফিফের ফিফটি পূর্ণ করার পর ৭৯ বলে পূর্ণ করেন মিরাজ। দুজনের জুটিতে আফগান বোলাররা খেই হারিয়ে শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ হারায় ম্যাচের।


শেষ পর্যন্ত মিরাজ-আফিফের অপরাজিত ১৭০ রানের জুটিতে ৭ বল বাকি রেখে ৪ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। আফিফ ৯৩ (১১৫) ও মিরাজ ৮১ (১২০) রানে অপরাজিত থেকে ছেড়েছেন মাঠ।


আফগানদের পক্ষে ৪ উইকেট নেন ফজল হক ফারুকি, ১ উইকেট করে নেন রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান।


২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কথা মনে আছে নিশ্চয়! কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ২৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। সেখান থেকেই ২২৪ রানের জুটি বেঁধে দলকে জিতিয়ে আনেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান। দুজনেই খেলেছিলেন শত রানের ইনিংস।


পাঁচ বছরের পুরনো সেই স্মৃতিকেই যেন ফেরালেন মেহেদী মিরাজ ও আফিফ হোসেন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ রানে যখন ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ, তখন ব্যাট করতে আসেন মেহেদী মিরাজ ও আফিফ হোসেন।


দুজনের অনবদ্য ব্যাটিং শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটের স্বস্তির জয় এনে দিয়েছে বাংলাদেশকে। দুজনে দলকে শুধু জেতাননি, বাংলাদেশের হয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও গড়েছেন।


ব্যাট করতে নেমে আফগান পেসার ফজল হক ফারুকির তোপের মুখে পড়ে স্বাগতিক ব্যাটিং লাইন-আফ। ওপেনার লিটন দাসকে (১) তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ফেরান সাজঘরে। একই ওভারের পঞ্চম বলে তামিম ইকবালকে (৮) রানে ফেরান এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে।


তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা মুশফিকুর রহিমকে ৩ রানে বিদায় করেন ফারুকি। অভিষিক্ত ইয়াসির আলীকে রানের খাতা খোলার আগে বিদায় করেন বোল্ড করে। টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল আফগানরা।


ইয়াসিরের বিদায়ের পর সাকিব আল হাসানকে ১০ রানে বোল্ড করে ফেরান মুজিব উর রহমান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হতাশ করেন রশিদ খানের বলে ৮ রান করে ক্যাচ দিয়ে।


এরপর তো জয়ের আশা নেমে আসে শুন্যের কোঠায়। তবে অসম্ভব বলে কিছু যে নেই সেটা প্রমাণ করে দেখালেন মিরাজ-আফিফ। ধুঁকতে থাকা দলকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান আফগান বোলারদের সামনে।


৬৭ বলে আফিফের ফিফটি পূর্ণ করার পর ৭৯ বলে পূর্ণ করেন মিরাজ। দুজনের জুটিতে আফগান বোলাররা খেই হারিয়ে শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ হারায় ম্যাচের।


শেষ পর্যন্ত মিরাজ-আফিফের অপরাজিত ১৭৪ রানের জুটিতে ৭ বল বাকি রেখে ৪ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। আফিফ ৯৩ (১১৫) ও মিরাজ ৮১ (১২০) রানে অপরাজিত থেকে ছেড়েছেন মাঠ।


আফগানদের পক্ষে ৪ উইকেট নেন ফজল হক ফারুকি, ১ উইকেট করে নেন রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান।


এর আগে সকালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে চাপে পড়ে আফগান দুই ওপেনার। তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মোস্তাফিজুর রহমানের শর্ট বল মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন মিড উইকেটে থাকা তামিম ইকবালের হাতে। গুরবাজ ফেরেন ১৪ বলে ৭ রান করে।


আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানকে ১৯ রানে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ৬৯ বলে ৩৪ রান করা রহমত শাহকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি ৪৩ বলে ২৮ রান করে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে।


১০২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। তার ৮৪ বলে ৬৭ রানের ইনিংসের সঙ্গে মোহাম্মদ নবীর ২০ (২৪), গুলবাদিন নাইবের ১৭ (২১) রানে ভর করে ৪৯ ওভার ১ বলে সব উইকেট হারিয়ে ২১৫ রান তোলে আফগানিস্তান।


বাংলাদেশের পক্ষে মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে ২ দশমিক ৮০ করে রান দিয়েছেন। শরিফুল ইসলাম প্রতি ওভারে ৩ দশমিক ৮০ করে রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। এ ছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান (৩.৮৮) ৩ উইকেট, তাসকিন আহমেদ (৫.৫০) ও সাকিব আল হাসান (৫.৫৫) নেন ২টি করে উইকেট। মাহমুদউল্লাহ ১ ওভারে ৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।