প্রকাশ: ২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:৫
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে এক আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে আল-মাওয়াসি অঞ্চলের একটি তাঁবুতে এই হামলা চালানো হয়। আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন।
ফিলিস্তিনি চিকিৎসকদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি। চিকিৎসকরা জানান, হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল মানবিক সহায়তা কেন্দ্রীভূত একটি এলাকা। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৫০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সংঘাতে গাজার প্রায় ২৩ লাখ অধিবাসীর বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অঞ্চলটির অবকাঠামো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
গাজার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, টানা হামলার কারণে তারা কোথাও নিরাপদ আশ্রয় পাচ্ছেন না। দক্ষিণ গাজা, যা অপেক্ষাকৃত কম সংঘাতপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল, সেখানেও এমন হামলা পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক করে তুলছে।
বিশ্ব সম্প্রদায় থেকে বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান এলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, সাধারণ মানুষের ওপর এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের এই আক্রমণকে নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি সাধারণ মানুষের জীবনের প্রতি চরম অবজ্ঞার উদাহরণ। তারা আন্তর্জাতিক মহলকে এই সংঘাত বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছে।
গাজার অবস্থা বর্তমানে মানবিক সংকটের চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে লাখো মানুষ অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো এই সংকট মোকাবিলায় প্রচেষ্টা চালালেও নিরাপত্তা সংকটের কারণে কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
এই সংঘাতের সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।