ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে অনুষ্ঠিত জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশে কেন্দ্রীয় আমির মাওলানা শফিকুর রহমান দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ১৭ বছর পর ঠাকুরগাঁওয়ে আয়োজিত এই সমাবেশে হাজারো কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঠাকুরগাঁও জেলা আমির মাওলানা বেলাল উদ্দীন প্রধান। প্রধান অতিথি মাওলানা শফিকুর রহমান বলেন, “আপনারা কথায় কথায় স্বাধীনতার চেতনার কথা বলেন। অথচ ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিজয় দিবসকে নিজেদের দাবি করে টুইট করেছেন। বাংলাদেশের বিজয় যদি ভারত দাবি করে, তখন আপনারা চুপ কেন? সীমান্তে দিনের পর দিন লাশ পড়ে, তখনও আপনাদের চেতনা কাজ করে না।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ ঠিক করবে কে ক্ষমতায় আসবে। আমাদের তরকারিতে আমরা লবণ দেব। বাংলাদেশের ওপর অন্য কারও হস্তক্ষেপ আমরা আর সহ্য করব না।”
২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালে ১৫৪টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে, ২০১৮ সালে করেছে মিডনাইট নির্বাচন, আর ২০২৪-এ ডামি নির্বাচন। এই ডামি সরকার সামান্য ধাক্কায় উড়ে গেছে। স্বৈরশাসকরা একবার পালিয়ে গেলে আর ফিরে আসে না, এটি ইতিহাসে প্রমাণিত।”
ডা. শফিকুর রহমান আরও অভিযোগ করেন, “যারা অতীতে দেশ শাসন করেছেন, তারা জনগণের আমানত রক্ষা করেননি। তারা লুটপাট করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এভাবে দেশের জনগণকে বারবার বঞ্চিত করা হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় জেনারেল অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মমতাজ উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। সমাবেশে উপস্থিত কর্মীরা এই আহ্বানে সাড়া দেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।