
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০১৯, ১৭:৪২

জাল-জালিয়াতির কারণে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকিং খাতে মূলধন ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। জনগণের করের টাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে মূলধনের জোগান দেয়া হলেও এখনও ঘাটতির পরিমাণ কমেনি; উল্টো বেড়েই চলেছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০টি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি খাতের ৬টি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ২৫ হাজার কোটি টাকা। বেসরকারি খাতের ৪টি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিবেদনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন করেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকিং খাতে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে যেসব ঋণ বেরিয়ে গেছে সেগুলোর প্রায়ই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। খেলাপি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে নির্ধারিত হারে প্রভিশন রাখতে হয়। একই সঙ্গে খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের পরিমাণও বেড়ে যায়। এ কারণে মূলধন ঘাটতি দেখা দেয়। তারা আরও বলেছেন, সরকারি ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির জোগান দেয়া হয় বাজেটে বরাদ্দ অর্থ থেকে। এই অর্থ আসে জনগণের করের টাকা থেকে। রাজনৈতিক নেতা, দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, ব্যাংক পরিচালক ও ব্যাংকাররা মিলে দুর্নীতি করে সরকারি ব্যাংকগুলোকে ফতুর করে দিচ্ছে। এ কারণে যে ঘাটতি হচ্ছে, ব্যাংক বাঁচিয়ে রাখতে তা পূরণ করা হচ্ছে জনগণের টাকায়। তারা প্রশ্ন করেছেন, এভাবে জনগণের টাকায় আর কতদিন সরকারি ব্যাংকগুলোকে ভর্তুকি দেয়া হবে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর