দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে এক সময় দামে ডাবল সেঞ্চুরি করা কাঁচ মরিচ এখন ২৫ টাকা কেজিতে নেমে এসেছে। আর দেশি কাঁচ মরিচের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ও লোকসানের আশংকায় ভারত থেকে কাঁচ মরিচ আমদানি বন্ধ রেখেছে আমদানিকারকরা।
হিলি স্থলবন্দরে এক মাস আগে কাঁচ মরিচের কেজি ছিল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। দেশী কাঁচ মরিচের প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে পাইকারি বাজারে।দিন দিন কমছে কাঁচ মরিচের দাম।এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম পাইকারিতে কেজিপ্রতি ৩৫ টাকা কমেছে।এক সপ্তাহে আগেও বন্দরে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।
তবে বর্তমানে দাম কমে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।দেশীয় বাজারে কাঁচ মরিচের দাম কমায় আমদানিকারকরাও হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচ মরিচ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।আমদানিকারকরা জানান,ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে কাঁচ মরিচের দাম কম।এলসির মাধ্যমে কাঁচ মরিচ আমদানি করলে লোকসান গুনতে হবে তাই কাঁচ মরিচ আমদানি করছি না।
আজ রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) হিলি স্থলবন্দরের বাজার ঘুরে দেখা যায়,কাঁচ মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ২৫ টাকা কেজি দরে।গত সপ্তাহে এই কাঁচ মরিচ বিক্রি হয়েছিল ৬০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচ মরিচ দাম কমেছে কেজিতে ৩৫ টাকা।
কাঁচ মরিচ ব্যবসায়ী বিপ্লব শেখ বলেন,কয়েক দিন ধরে আবহাওয়া ভালো থাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা মরিচের উৎপাদন ভালো হয়েছে।এতে মোকামগুলোতে কাঁচা মরিচের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। আগে শুধু বগুড়া থেকে কাঁচা মরিচ আসছিল। এখন নওগাঁসহ আশপাশের এলাকা থেকেও আসছে কাঁচা মরিচ।এতে বাজারে কাঁচা মরিচের সররবাহ অনেকটাই বেড়েছে গেছে। মোকামে আমরা যেমন কম দামে কাঁচা মরিচ কিনতে পারছি,তেমনি বাজারে কম দামে বিক্রিও করতে পারছি।
এদিকে হিলি কাস্টম্স সূত্রে জানা যায়,গত শনিবার (৬ আগস্ট) থেকে (২৪ আগস্ট) বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারত থেকে ৬ লাখ ৪২ হাজার ৯ শত ৭৫ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।