প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর আবারও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানি শুরু হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টায় ভারত থেকে পেঁয়াজ বোঝাই ১২ টি ট্রাক দেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে আমদানি শুরু হয়।
বন্দর দিয়ে ইন্দোর ও নাসিক দুই জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজি দরে আর নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে,হিলি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ দাম কমে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা মঙ্গলবারে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
হিলি স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজ সরবরাহকারী রেজাউল ইসলাম বলেন,‘আবারও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতাদের অর্ডার দিতে শুরু করেছে। দাম কম থাকায় চাহিদা অনুযায়ী আমরা বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে মোকামে পাঠিয়েছি।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় ইতোমধ্যেই বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। যে পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় উঠে গিয়েছিল, সেটি কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে। গতকাল হিলিসহ অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে ৩০ টাকার মধ্যে চলে এসেছে।’ আমদানি অব্যাহত থাকলে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।
হিলি পানামা পোর্ট এর জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন,‘আমদানির অনুমতি না থাকায় গত ৫ মে থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। নতুন করে আবারও আমদানির অনুমতি পাওয়ায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬ টায় ভারত থেকে পেঁয়াজ বাহী ১২ টি ট্রাক দেশে প্রবেশ করে। এদিন বন্দর দিয়ে মোট ১২ টি ট্রাকে ২৯৯ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।