হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি, কমবে দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, উপজেলা প্রতিনিধি হিলি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: সোমবার ৪ঠা জুলাই ২০২২ ০৯:০২ অপরাহ্ন
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি, কমবে দাম

কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা কয়েক হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। তারা এলসি খোলার কাজ শুরু করেছেন। 


মঙ্গলবার (৫ জুলাই) থেকে আমদানি শুরু হবে। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।


সোমবার (৪ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, হিলি স্থলবন্দরের আমদানি রফতানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন। 

তিনি বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) না দেওয়ায় ঈদুল ফিতরের পর থেকে বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। কোরবানি ঈদে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। হিলি বন্দরের বেশ কিছু আমদানি কারক পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছে। আশা করছি আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। 


হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলুর রহমান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) না দেওয়ায় গত ৫ মে থেকে দেশের সব স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। বাজারে হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ও কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে পত্র দিয়েছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। আগেই আইপির আবেদন করেছিলাম আমরা। সোমবার বিকালে এক হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পেয়েছি।


তিনি আরও বলেন, হিলি বন্দরের অনেক আমদানিকারক অনুমতি পেয়েছেন। অনুমতি পাওয়ার পর থেকে এলসি খোলার কাজ শুরু করেছি আমরা। আশা করছি মঙ্গলবার বিকাল থেকে আমদানি শুরু হবে। এতে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে, সেইসঙ্গে দাম কমবে।


হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, দেশের কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় গত ৫ মে থেকে পেঁয়াজের আইপি ইস্যু বন্ধ করে রেখেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ফলে ওই দিন থেকে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ ছিল। সম্প্রতি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। এ অবস্থায় কোরবানির ঈদে বাজার স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার থেকে আইপি দেওয়া শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। এখন পর্যন্ত ১২ আমদানিকারক ১২ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির আইপি পেয়েছেন। আশা করা যায়, মঙ্গলবার থেকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে।