স্মরণীয় জুলাই, তিস্তা সেতু চালুর উদ্যোগ

শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে সেতুর নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেই মাসকে স্মরণীয় করে রাখতে এই মাসেই ব্রিজটি চালু করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে।” সেতুর সংযোগ সড়ক, নদীশাসন, কালভার্ট ও আনুষঙ্গিক কাজগুলো দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

পরিদর্শনে সচিবের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ মিয়া, যুগ্ম সচিব সামছুল ইসলাম, উপদেষ্টার একান্ত সচিব আবুল হাসান, জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জেম হোসেনসহ এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে ও ইফাদের অর্থায়নে এই তৃতীয় তিস্তা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে। নির্ধারিত সময় ছিল ২০২৩ সালের জুন, পরে তা একাধিকবার বাড়িয়ে সর্বশেষ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়।

সেতুর দৈর্ঘ্য ১,৪৯০ মিটার। মূল কাঠামোর নির্মাণ ব্যয় ৩৬৭ কোটি টাকা। সংযোগ সড়ক, নদীশাসন, কালভার্ট এবং জমি অধিগ্রহণে খরচ হয়েছে ৩৬৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। দুই পাশে ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে নদীশাসনের আওতায় প্রায় ৬.৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুতে রয়েছে ২৯০টি পাইল, ৩০টি পিলার, ২৮টি স্প্যান এবং ১৫৫টি গার্ডার। এছাড়াও পানি নিষ্কাশনের জন্য উভয় পাশে ১২টি ব্রিজ ও ৫৮টি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

এই সেতু শুধু সুন্দরগঞ্জ ও চিলমারীর সংযোগ নয়, বরং এটি এ অঞ্চলের মানুষের জীবনে বড় পরিবর্তন আনবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।