প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ১৬:৪৯
মৌলভীবাজারের বড়লেখা ও কুলাউড়া সীমান্তে ভারতের পুশইন অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনা থেমে নেই। বিজিবি টহল জোরদার করলেও বিএসএফ সীমান্তের বিভিন্ন অংশ থেকে নারী ও শিশুসহ বহু মানুষকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে। গত রবিবার ভোরে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে ১২১ জনকে আটক করেছে বিজিবি। আটককৃতরা বাংলাদেশি নাগরিক বলে বিজিবি নিশ্চিত করেছে। তাদের মধ্যে ৭৯ জনকে লাতু বিওপি ক্যাম্প এবং ৪২ জনকে পাল্লাথল বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা আটক করে।
৫২-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান জানান, আটককৃতদের বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বড়লেখা থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার বলেন, আটককৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং স্বজনরা আসলে তাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে। বিজিবি সূত্র জানায়, গত দুই সপ্তাহে সীমান্ত থেকে মোট প্রায় ২৪০ জনকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। তাদের অধিকাংশ গরিব ও দিনমজুর শ্রেণির নাগরিক।
বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, ১৪ মে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন, ৭ মে কমলগঞ্জের ধলই সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন এবং ৮ মে বড়লেখার পাল্লাতল ও লাতু সীমান্ত দিয়ে ৫৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়। এছাড়া ১৫ মে কুলাউড়ার মুরইছড়া সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন এবং বড়লেখার গানদাইল সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
বিজিবি জানিয়েছে, অনুপ্রবেশকারীরা জীবিকার সন্ধানে ভারত গিয়েছিলেন এবং পরে ভারতীয় পুলিশ তাদের ধরে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। বিএসএফ তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয়। বিজিবি প্রতিটি অনুপ্রবেশের ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
৪৬-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়া বলেন, সীমান্তের পুশইন ও অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবির অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং দেশের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ণ রাখতে তারা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবে। সীমান্তে এমন অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।