প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ১৮:২৩
চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার নয়ারহাট এলাকার রিংভো অ্যাপারেলস নামে একটি পোশাক কারখানা থেকে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ২০ হাজার ৩০০ পিস ইউনিফর্ম উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনা ১৭ মে রাতে ঘটে। উদ্ধারকৃত পোশাকগুলো ওই সংগঠনের সদস্যদের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হচ্ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর কারখানার মালিক সাহেদুল ইসলাম এবং দুই সহযোগী গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা পোশাক তৈরির অর্ডার নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ গতকাল সোমবার পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘটনার তথ্য প্রকাশ না করলেও, সিএমপির একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে, সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ এই ঘটনা অস্বীকার করে বলেছেন, ‘এই ধরনের কোনো ঘটনা নেই, এটি ভিত্তিহীন খবর।’ তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা পোশাকগুলো জব্দ করেছে এবং তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মার্চ মাসে গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার দুই কোটি টাকায় মংহলাসিন মারমা নামে একজনের কাছ থেকে কেএনএফ-এর ইউনিফর্ম তৈরির অর্ডার নেন। এই অর্ডারের মাধ্যমে কারখানায় এই বিশাল পরিমাণ ইউনিফর্ম তৈরির কাজ চলছিল। ওই সংগঠনের সদস্যরা তাদের কাপড় সরবরাহ করেছিল। তবে পোশাকগুলো সরবরাহের সময়সূচি চলতি মাসেই নির্ধারিত ছিল।
পোশাক উদ্ধারের পর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় চারজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই ইকবাল হোসেন মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় উল্লেখ রয়েছে, কারখানার মালিক ও অর্ডারদাতারা সক্রিয়ভাবে কেএনএফ-এর জন্য ইউনিফর্ম তৈরি করছিলেন।
এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের কথাও বলা হয়েছে। কেএনএফ-এর মত সশস্ত্র সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে বলে তারা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষও এই ধরনের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং আশা করছে দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ হবে এবং শহরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নত হবে। পুলিশ ও প্রশাসনের এমন সফল অভিযান ভবিষ্যতে অপরাধ দমনে সহায়ক হবে বলে তারা মনে করছে।
সূত্রঃ সমকাল