প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ১৮:৮
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলসহ চার দফা দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ রোববার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সোমবার থেকে শুল্ক, ভ্যাট ও কর বিভাগের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ছাড়া অন্যান্য সকল আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এই কর্মবিরতির আওতায় থাকবে। শুধু ওষুধ ও জীবন রক্ষাকারী পণ্য সরবরাহ অব্যাহত থাকবে।
আগামী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনকারীরা জানান, তারা ১৩ দিন ধরে এই চার দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে এবং এখন থেকে সরকারের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কঠোর অবস্থানে থাকবে। এনবিআরের প্রধান কার্যালয়ে কর্মচারীরা সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করেছে। এতে অনেকেই বাইরে ও ভিতরে ঘোরাঘুরি করছেন, কেউ বসে পেপার পড়ছেন, কেউ আবার কথা বলছেন। কর্মসূচির সময় পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি তাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা সৃষ্টি করছে এবং সরকার আন্দোলন দমন করতে চাইছে। এ বিষয়ে তারা কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কর্মচারীরা বলছেন, সরকারের উচিত তাদের দাবিগুলো দ্রুত মেনে নেওয়া।
সংগঠনের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিল করা, এনবিআরের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা এবং রাজস্ব সংস্কার পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা। এছাড়া তারা দাবি করেছেন, সংশ্লিষ্ট সব সংগঠন, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা গঠন করা হোক।
তারা আরও বলেছেন, এনবিআরের প্রস্তাবিত খসড়া ও পরামর্শক কমিটির সুপারিশ সমন্বয় করে নতুন সংস্কার করা হবে যাতে দেশের অর্থনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থা উন্নত হয়। কর্মসূচির মধ্যে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার কারণ হলো তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সরকারকে চাপ দেয়া।
বিশেষ করে শুল্ক ও কর বিভাগের কর্মীরা বলছেন, বর্তমান ব্যবস্থায় দুর্নীতি ও জটিলতা বেড়েছে, যা ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। তাদের দাবি হলো একটি স্বচ্ছ ও সহজ রাজস্ব ব্যবস্থা যা সবাইকে স্বস্তি দেবে। এই কর্মবিরতি কার্যক্রম দেশের বিভিন্ন স্থানে অব্যাহত থাকবে বলে তারা জানান।
সরকার এখন পর্যন্ত তাদের দাবি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো উত্তর দেয়নি। এনবিআর কর্মচারীদের এই আন্দোলন আগামী দিনগুলোতে কেমন হবে, তা সময়ই বলবে।