প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ১৮:৪০
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিএনপি এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে। দেশের জনগণ এ সরকারের মাধ্যমেই ইতিহাসের সেরা সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
রোববার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান। এই সময় তিনি দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে তাঁর দলের অবস্থান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সরকারের সমালোচনা করার অধিকার জনগণের আছে এবং তা অব্যাহত রাখা উচিত। তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে সরকারের দায়িত্ব ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট থাকে। কোনো আবেগ বা বিরাগভাজন হয়ে নয়, বরং যুক্তি ও বাস্তবতার ভিত্তিতে সমালোচনা হওয়া উচিত।
আওয়ামী লীগের শাসনামল নিয়ে সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, সংবিধানে জনগণের ভোটাধিকার থাকলেও তা বাস্তবে প্রয়োগ হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, ভোটাধিকার হরণের মাধ্যমে একটি নিরঙ্কুশ ক্ষমতাধারী সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদী রূপ নিয়েছে। যদি জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ গঠিত হতো, তবে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না।
সংস্কার ইস্যুতে তিনি বলেন, সংস্কার কোনো ছোট-বড় বিষয় নয়, বরং এটি ধারাবাহিক একটি প্রক্রিয়া। সরকারের পক্ষ থেকে বাজেটের আগে হঠাৎ এনবিআরে সংস্কার চাপিয়ে দেওয়ায় বর্তমানে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এই পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী করেন এবং বলেন, নীতিনির্ধারণে গঠনমূলক পরিকল্পনার অভাবেই এই সংকট তৈরি হয়েছে।
তারেক রহমানের বক্তব্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক ময়দানে দলগুলোর কৌশল নিয়েও নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই কীভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তা নিয়েই এখন অপেক্ষায় দেশবাসী।