প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ১৬:৩৯
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির কারণে রবিবার সকাল থেকে সকল প্রকার আমদানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ঈদুল আজহার আগমনে বাজারে মসলা জাতীয় পণ্যের চাহিদা যখন তুঙ্গে, তখন এই কর্মবিরতিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ভারত থেকে জিরা, আদা ও অন্যান্য মসলা পণ্যের আমদানির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী জানান, কাস্টমস কর্মকর্তারা সকাল থেকেই কলম বিরতি শুরু করেছেন। ফলে বন্দরে আটকে আছে ভারতীয় ট্রাকগুলো এবং কাঁচামাল বোঝাই পণ্য নামানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ঈদ সামনে রেখে তারা বড় পরিসরে মসলা পণ্য আমদানির পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে হঠাৎ করে কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মবিরতিতে সেই পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এমন অবস্থায় ক্ষতি পোষাতে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী মহল।
হিলি শুল্ক স্টেশনের একাধিক রাজস্ব কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এই কর্মবিরতি কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ। তারা চারটি মৌলিক দাবির ভিত্তিতে এই কর্মসূচি পালন করছেন এবং বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে জানান তারা। তবে দাবিগুলো কী সে বিষয়ে তারা বিস্তারিত বলতে রাজি হননি।
এদিকে হঠাৎ করে এমন কর্মসূচির কারণে পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত চালক, শ্রমিক ও খালাসকারীরাও সমস্যায় পড়েছেন। ট্রাকভর্তি পণ্য বন্দরে আটকে থাকায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে শ্রমজীবীদের।
পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় ভারতের সাথেও বাণিজ্যিক যোগাযোগ আপাতত বন্ধ রয়েছে। এতে দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কেও প্রভাব পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রেখে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে দ্রুত সমাধান না হলে ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।