গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী ও তাদের স্বজনদের জন্য প্রতিদিন সাহরি খাওয়ার ব্যবস্থা, প্রশংসায় ভাসছে ফেসবুক গ্রুপ ‘পরিবর্তনের মেহেরপুর’। এই মহৎ উদ্যোগটি বিশেষ করে রমজান মাসে হাসপাতালে থাকা রোগী এবং তাদের স্বজনদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। গত কয়েকদিন ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোজা রাখার জন্য ৩৫ থেকে ৪০ জন রোজাদার স্বজনের জন্য সাহরি ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনদের জন্য সাহরির ব্যবস্থা করে একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সাইদুর রহমান, মেহেরপুরের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম 'পরিবর্তনের মেহেরপুর' এর এডমিন, জানিয়েছেন, ‘গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে রোগীরা সেবা নিতে আসেন, এবং তাদের স্বজনরা তাদের সঙ্গে থাকেন। রমজান মাসে, রাতে সাহরি খাওয়া তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে, যেহেতু দূর থেকে পরিবারের সদস্যরা খাবার নিয়ে আসতে পারেন না। আমাদের এই উদ্যোগ মূলত তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার জন্য।’
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, এমন মহৎ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়, এবং যারা এটি শুরু করেছেন তাদের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন। রুগী সহ তার স্বজনরা জানান, “আমরা অনেক কষ্টে হাসপাতালে আসি, তবে এখানে সাহরি ব্যবস্থা পেয়ে আমাদের মন ভরে গেছে।”
আশিকুল ইসলাম সাগর, আয়োজক কমিটির সদস্য, বলেন, “আমরা প্রতিদিন ৩৫ থেকে ৪০ জন রোজাদারের জন্য সাহরি ব্যবস্থা করি। কখনো কখনো ৪৫ জনের জন্যও ব্যবস্থা করতে হয়। আল্লাহর রহমত ছাড়া এটি সম্ভব নয়।” তিনি জানান, সাহরির খাবারে ডিম, মাছ, মাংস সহ বিভিন্ন সবজি থাকে এবং প্রতি দিন একেকটি নতুন খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, সুপ্রভা রানী, বলেন, “এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। যারা রোগীদের স্বজনদের সাহরি খাওয়ার বিষয়টা চিন্তা করেছেন তাদের মঙ্গল কামনা করি।”
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রীতম সাহা, এমন মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং বলেন, “এই ধরনের উদ্যোগ সত্যিই নতুন এবং প্রশংসনীয়।”
এ ধরনের উদ্যোগ শুধু স্থানীয় জনগণের জন্য নয়, গোটা সমাজের জন্য একটি অনুপ্রেরণা। "পরিবর্তনের মেহেরপুর" এর উদ্যোগে যে সহযোগিতার হাত বাড়ানো হচ্ছে, তা সত্যিই একটি বড় উদাহরণ।