প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:৩৪
দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিশেষ অভিযান "অপারেশন ডেভিল হান্ট" পরিচালনা করে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা থেকে রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পরিচালিত এই অভিযানে বৈষম্য বিরোধী রাজনৈতিক মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. আবু তাহের বকুল (৪০) ও তদন্তে সন্দেহভাজন আসামি মো. খাইরুল ইসলাম (৩৩) কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. আবু তাহের বকুল নবাবগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং এক সময়ের আওয়ামী যুবলীগ নেতা ছিলেন। অন্যদিকে, মো. খাইরুল ইসলাম পারহরিনা গ্রামের বাসিন্দা এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ভাদুরিয়া ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি এলাকায় ‘স্লোগান মাস্টার’ নামে পরিচিত ছিলেন এবং পতিত সরকারের সাবেক এমপির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আঃ মতিন জানান, "গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারের পর যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।"
পুলিশ জানিয়েছে, অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে নবাবগঞ্জ উপজেলায় এই বিশেষ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা তদন্তের কাজে ব্যবহৃত হবে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন স্থানে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে এ অভিযানে দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ পর্যন্ত দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, অবৈধ কার্যক্রম ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, "অভিযান চলবে এবং যারা সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দিনাজপুর জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর।"