প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২:৫২
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসকে ঘিরে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ব্রিফংকালে এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান। এর আগে তিনি শহীদ মিনার কেন্দ্রিক গৃহীত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ঘুরে দেখেন।
এ সময় ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তারপরও পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা হুমকি বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নিয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি যেহেতু গভীর রাত এবং ঢাকা শহরের মানুষ এদিকে আসবেন সেজন্য যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ব্যবস্থা রাখা রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে। কোনো কোনো জায়গা দিয়ে গাড়ি এদিকে ঢুকতে পারবে সাধারণত পলাশীর মোড় দিয়ে শহীদ মিনারে আসার রাস্তাটা রাখা হয়েছে এবং বের হওয়ার রাস্তাটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ডিএমপি বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বোম্ব ডিস্পোজাল টিম, সোয়াট টিম, ফায়ার সার্ভিস, মেডিক্যাল টিমমহ অন্যান্য টিম নিরাপদ দূরত্বে স্ট্যান্ডবাই থাকবে। শহীদ মিনার এলাকায় সার্বক্ষণিক তল্লাশি ব্যবস্থা এবং পেট্রলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ড্রোন পেট্রলিং, মোবাইল পেট্রলিং এবং সাইবার পেট্রলিং এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসবেন তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ সবাই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এখানে আসবেন এবং শৃঙ্খলা মেনে চলবেন। সব নাগরিকের কাছ থেকে পুলিশ সহনশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।
বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটেছিল ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ৪৮ থেকে ৫২ এই সময় যে ভাষার জন্য আন্দোলন, সেই আন্দোলন এবং ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারির স্মৃতিকে সংরক্ষণ করে, শ্রদ্ধা করে বাঙালি জাতি শহীদ দিবস উদযাপন করে এবং সারা পৃথিবীর মানুষ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করে।
তিনি বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
রাত ১২টার পর প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনীতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পন করবেন। পরে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এম মাকসুদুর রহমান, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীশ ও ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনারা, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।