শেখ হাসিনা ও টিউলিপকে দেশে ফেরাতে দুদকের উদ্যোগ

তিনি জানান, শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে একাধিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তারা অভিযুক্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক আইনি সহায়তার আওতায় তাদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠানো হয়েছে, যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিদেশি দূতাবাস হয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠানো হবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্টে ছাত্র ও জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে মামলা হয়।

রাজউকের একটি প্রকল্পে জালিয়াতির মাধ্যমে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠার প্লট আত্মসাতের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা করেছে দুদক। এসব মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দুদক সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে বলে জানান কমিশনার।

টিউলিপ সিদ্দিকের ক্ষেত্রেও একই রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টধারী হওয়ায় তাকে বিদেশি নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে করা মামলার নথিপত্র বাংলাদেশি ঠিকানাতেই পাঠানো হয়েছে।

এদিকে রেড অ্যালার্ট জারির বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনার জানান, এখনো কমিশনের ভেতরে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে পরবর্তী কমিশন সভায় এটি আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এ সপ্তাহে আলোচনা না হয়, তাহলে আগামী সপ্তাহেই হতে পারে বলে জানান তিনি।

শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন সংস্থার সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চুক্তি সম্পন্ন হলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন দুদক কমিশনার।