প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২২, ২৩:৫৪
পাঁচবিবি-জয়পুরহাট সড়কের দুই পার্শ্বে রয়েছে দারুল ইসলাম একাডেমী,পাঁচবিবি মহিলা কলেজ,স্থানীয় ইউপি ভবন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, ব্র্যাক ও এসডিএস এনজিও,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পাঁচবিবি গোহাটি থেকে আধা কি:মি কচুরলতি হাটি এলাকায় দেখা গেলো এমন দৃশ্য স্কুল খোলা ও ছুটির পর শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সড়ক পারাপারে জন্য লাল কাপড়ের ঝান্ডি হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছেন দারুল ইসলাম একাডেমীর প্রধান শিক্ষক বাশার।
হিলি স্থলবন্দর থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে জয়পুরহাটের দিকে এ সড়ক দিয়ে ভারি ও ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে। রাস্তায় দ্রুতগতিতে চলাচল যানবাহন দ্বারা কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে এমন চিন্তায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকরা আতংঙ্ক।
এছাড়া হাটে কচুরলতি বিক্রয় করতে আসা কৃষক ও পাইকারদের পদচারনায় প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ দাড় পর্যন্ত লোকে ভরপুর থাকে।উপরোন্ত লতি বহনের ভ্যান-রিক্সা,সাইকেল, মটরসাইকেল ও ট্রাক তো আছেই। স্কুলের সামনের ৪’মাথা মোড়টি সর্বোক্ষণ জনাকীর্ণ থাকেন। একইস্থানে সড়কের উভয় পাশে দোকান আর উত্তরবঙ্গের সর্বোবৃহত্ত কচুর লতিরহাট।শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবানিতে আসা জনসাধারনদের নিরাপদে চলাচলে এখানে একটি গতিরোধক দ্রুত প্রয়োজন বলে স্থানীয়রা জানান।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯’টায় দেখা যায়, দারুল ইসলাম একাডেমীর প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন সহকারি শিক্ষকদের সহায়তায় স্কুলে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদে প্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছেন।রাস্তায় দ্রুতগতিতে চলা যানবাহনের ড্র্রাইভারদের উদ্যেশে প্রধান শিক্ষক হাতে লাল কাপড় উচিয়ে গতি কমানোর সংকেত দিচ্ছেন একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশের নির্দেশ দিচ্ছেন।
প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণীর গহনা অধিকারী হেনাসহ একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, শুধু স্কুলে আসার সময় নয় ছুটির সময় এবং টিফিন পিরিয়ডেও স্যারেরা রাস্তার বাস-ট্রাক ও ভ্যান-রিক্সার হাত থেকে প্রতিদিন এভাবে আমাদেরকে রক্ষা করে। এছাড়া বাড়ি থেকে স্কুলে আসা-যাওয়ার সময় সতর্কভাবে রাস্তার গাড়ি-ঘোড়া দেখে পথ চলার নির্দেশ দেন হেড স্যার।
অভিভাবক আতাউর রহমান লিটন বলেন, রাস্তার পাশেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আর অধিক গতিতে বাস-ট্রাক চলাচল করে। আমরা সন্তানকে নিয়ে ভয়ে থাকি স্কুলে যাওয়া-আসার সময় কখন কোন অঘটনের সংবাদ আসে। শিক্ষকরাই ট্রাফিক সেজে আমাদের কমলমতি সন্তানদের রাস্তা পার করে দেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষর নিকট তার দাবী স্কুলের সামনে গতিরোধক হোক। ৯৯৪ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠান পর থেকেই আমরা সব শিক্ষক মিলে ভালো পাঠদানের কল্যাণে প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের সন্তোষজনক ফলাফল হয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার।
প্রতিষ্ঠানটি প্রায় সাড়ে ৪’শ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য স্কুলের সামনের রাস্তায় একটা গতিরোধকের জন্য অনেকেই অবহিত করেছি।অপরদিকে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ওয়ালিউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় স্কুলের সামনের রাস্তার উভয় পাশে ধীর গতিতে চলুন সাইনবোড দেওয়া হয়েছে। কিন্ত তিনিও গতিরোধক স্থাপনে যথাযথ কর্তৃপক্ষর সু-দৃষ্টি কামনা করেন।