প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৩:২০
শারদীয় দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে বরিশালের মন্দিরে মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ।করোনাকালে প্রকৃতির খেয়ালে আজ মানুষ এক বিরূপ পরিস্তিতির মাঝেই বসবাস করছে। কিন্তু সময় থেমে নেই, কয়েকদিন পরেই আসছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
বরিশাল নগরীর পূজামন্ডপ গুলোতে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ ও সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগর ও মৃৎশিল্পীরাসহ আয়োজক কমিটির সদস্যরা। মন্ডপগুলো সাজানো হচ্ছে নানান সাজে। কোথাও চলছে মাটির কাজ আবার কোথাও রংয়ের কাজ।সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে বিরাজ করেছে উৎসবের আমেজ। উৎসব মানেই পরিবারের ছোট বড় সবার নতুন পোশাক বিভিন্ন আয়োজন অথচ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে এবছর উৎসব পালনে সাধ এবং সাধ্যের সমন্বয় করাটা কঠিন।
তাই আসন্ন দুর্গোৎসব উপলক্ষে যে যার সাধ্য অনুযায়ী পরিবারের জন্য কেনাকাটা চিন্তিত অনেকেই। এছাড়াও করোনা মহামারীর এসময়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুজা আয়োজনে বার বারই তাগিদ দিচ্ছেন জেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকেও করোনা মহামারীর বিষয়টি সর্বোচ্চ বিবেচনায় রেখেই সব কিছু আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। স্
বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, আমাদের কোন আনন্দ অনুষ্ঠান যেন বিষাদের কারণ না হয় সেদিকে বিশষ নজর না দিলে নতুন বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে। তাদের মতে,গত মাস থেকে এ পর্যন্ত বরিশালে করোনা সংক্রমন যতটা উন্নতি হয়েছে,তা ধরে রাখতে হলে পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরনের কোন বিকল্প নেই। নগরীর জিয়া সড়ক এলাকার শ্রী শ্রী জয় দুর্গা কামেশ্বরি মাতার মন্দিরের হিসাব রক্ষক বিশ্বজিৎ হালদার বলেন, আমরা এক বছর ধরে অপেক্ষা করছি, কখন মা আসবে। মায়ের আগমনের জন্যই এই প্রস্তুতি চলছে।
পূজা উপলক্ষে আমাদের প্রত্যাশা, পূজাটা যেন সুন্দর সুষ্ঠুভাবে উঠাতে পারি এবং সবাইকে নিয়ে আনন্দ করতে পারি।তবে নিরাপত্তা জোরদার করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে তিনি।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও প্রতিটি পুজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে, আর সবগুলো পূজা মন্ডপকে কঠোর নিরাপত্তার আওতায় নিতে সাদা ও পোষাকধারী পুলিশ সদস্যদের সাথে প্রায় ১০হাজারের বেশি আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
পঞ্জিকা অনুযায়ী আগামী ১১ অক্টোবর দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আর ১৫ অক্টোবর দুর্গোৎসবের মূল পূজা শুরু। অর্থাৎ আগামী বছর পুজো প্রায় ১০ দিন এগিয়ে এসেছে।