মণিপুরে বিশাল অস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার: যুদ্ধ পরিচালনার মতো সক্ষমতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
সৌম্যা সাহা , কলকাতা প্রতিনিধি ভারত
প্রকাশিত: শুক্রবার ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৫০ অপরাহ্ন
মণিপুরে বিশাল অস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার: যুদ্ধ পরিচালনার মতো সক্ষমতা

ভারতের মণিপুর রাজ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং মণিপুর পুলিশ যৌথভাবে চূড়াচাঁদপুর ও কাংপোকপি জেলার গহীন জঙ্গল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কর্পস জানিয়েছে, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) এবং বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) সাথে যৌথভাবে পরিচালিত এই অভিযানে এমন পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে, যা দিয়ে একটি যুদ্ধ পরিচালনা করা সম্ভব।


সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “৪৮ ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযানে চূড়াচাঁদপুর ও কাংপোকপির বিস্তৃত গহীন জঙ্গলে একটি গোপন অস্ত্রাগার থেকে বেশ কয়েকটি যুদ্ধাস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।” উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ম্যাগজিনসহ ৭.৬২ এমএম একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল, তিনটি মাঝারি আকৃতির ক্রুড মর্টার (স্থানীয়ভাবে পাম্পি নামে পরিচিত), একটি মডিফায়েড এম-১৬ অ্যাসল্ট রাইফেল, দেশে তৈরি ৭.৫ ফুট দীর্ঘ একটি রকেট, এবং বড় আকারের একটি দেশীয় মর্টার। এছাড়াও, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদও উদ্ধার করা হয়েছে।


উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ আপাতত মণিপুর পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে এবং এ বিষয়ে পুলিশ ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।


মণিপুরে গত বছরের মে মাস থেকে জাতিগত দাঙ্গার শুরু। রাজ্যের মেইতেই, কুকি ও চিন এই তিন জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে চলমান সংঘাত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিশেষত কুকি ও চিন গোষ্ঠী নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ থেকে মেইতেই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। 


এ সংঘাতের মধ্যে টানা কয়েক মাস সহিংসতা চলার পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়েছিল। কিন্তু ১ সেপ্টেম্বর রাজধানী ইম্ফলের পশ্চিমে কৌতরুকে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটলে মণিপুরের পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য হতে হয়েছে।


মণিপুরে চলমান সংঘাত এবং অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই অঞ্চলের সহিংসতা বন্ধ করতে হলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।