১৯এর আগেই কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড় !

নিজস্ব প্রতিবেদক
এরফান হোছাইন. জেলা প্রতিনিধি (কক্সবাজার)
প্রকাশিত: সোমবার ১৬ই আগস্ট ২০২১ ১০:০৬ অপরাহ্ন
১৯এর আগেই কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড় !

আগামী ১৯ আগস্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু তার আগেই কক্সবাজারে ভিড় করেছেন হাজারো পর্যটক। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না পর্যটকরা। স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের সৈকত থেকে সরিয়ে দিলেও নানা অজুহাতে নামছেন। এ অবস্থায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তারা বলছেন, প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় পর্যটকরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। যদিও ট্যুরিস্ট পুলিশ বলছে, বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের নজরদারি রয়েছে। তবে বাস্তবতা হলো সৈকতের ৭০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কড়াকড়ি আরোপ সম্ভব নয়। আর পর্যটকরা বলছেন, অনেকদিন ধরে করোনায় ঘরবন্দি থেকে মুক্তি পেতে সৈকতে ভ্রমণে এসেছেন। সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সৈকতে নেমেছেন তারা।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত ও সব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। চলতি বছরের ১ এপ্রিলের পর থেকে সংক্রমণরোধে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের নামতে দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। একইভাবে সব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক দম্পতি মাহবুব ও সালমা বলেন, করোনার বিষয়টি আল্লাহর হাতে ছেড়ে দিলাম। মনে হয় না কোনও সমস্যা হবে। আমরা তো স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সৈকতে বেড়াতে এসেছি। কতদিন বাসায় বন্দি সময় কাটাবো?। স্থানীয় পর্যটক সুজা বলেন, সৈকতে আসা পর্যটকদের মুখে মাস্ক নেই। বিধিনিষেধ না মানলে কক্সবাজারে করোনার অবস্থা ভয়াবহ হবে। প্রশাসনকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। হিমছড়ির দরিয়া নগরে আরেক দর্শনার্থী আবু রায়াত বলেন, বিধিনিষেধে যান চলাচল বন্ধ ছিল। যার কারণে অনেক দিন ধরে বাচ্চাদের নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাইনি। তাই বাচ্চাদের নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে আসলাম। মিনারুল রাবেয়া বলেন, পর্যটন না খোলার কারণে এখন লোকজন কম। ১৯ আগস্টের পর থেকে পর্যটক বেড়ে যাবে। তাই আগেই এসেছি। আশা করছি, করোনায় কোনও সমস্যা হবে না।


কলাতলী মেরিন ড্রাইভ সড়ক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খান বলেন, পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার আগেই পর্যটকরা কক্সবাজারে আসছেন। আমরা পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেলে অবস্থানের সুযোগ দিচ্ছি। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. আবু সুফিয়ান বলেন, জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে এবং পর্যটন শিল্পকে অগ্রসর করতে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে পুনরায় পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।


দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ বছরের ১ এপ্রিল বন্ধ ঘোষণা করা হয় দেশের সব পর্যটনকেন্দ্র। প্রায় চার মাস পর আগামী বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের সব পর্যটনকেন্দ্র খোলা হবে। গত ১০ আগস্ট থেকে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো খোলা রয়েছে।