জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়কর রিটার্ন জমার সময়সীমা আরও ১৫ দিন বাড়িয়েছে। নতুন সময়সীমা ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে এর আগে দুই দফায় সময় বাড়ানো হলেও প্রত্যাশিত পরিমাণ রিটার্ন জমা পড়েনি। এ অবস্থায় করদাতাদের সুবিধার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হতে পারে। নতুন সময়সীমা নিয়ে প্রস্তাব ইতিমধ্যে অর্থ উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয়েছে। দেশে বর্তমানে ১ কোটির বেশি কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) রয়েছেন। এর মধ্যে প্রতি বছর গড়ে ৪০ লাখের বেশি করদাতা রিটার্ন জমা দিয়ে থাকেন।
চলতি বছর সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান জানান, ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ অনলাইন রিটার্ন জমা পড়েছে। তবে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট রিটার্ন জমার সংখ্যা ৩৪ লাখ, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কম।
এনবিআর সূত্রমতে, রিটার্ন জমার সময়সীমা বাড়ানোর ফলে করদাতারা আরও সময় পাবেন। এতে রিটার্ন জমার হার বাড়বে এবং রাজস্ব আদায়েও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। করদাতাদের সুবিধার্থে এনবিআর বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে অনলাইন রিটার্ন দাখিল ব্যবস্থা অন্যতম।
এনবিআর আশা করছে, সময়সীমা বাড়ানো হলে করদাতারা তাদের রিটার্ন দাখিলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন। এতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজ হবে। করদাতাদের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে রিটার্ন জমার হার বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সময়সীমা বাড়ানো হলেও করদাতাদের দ্রুত রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এতে রাজস্ব আদায়ের গতি বাড়বে এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন সহজ হবে। করদাতাদের সহযোগিতায় এনবিআর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।