ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক

নিজস্ব প্রতিবেদক
সামির আসাফ, প্রতিনিধি ( ঢাকা )
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৩০শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৬:১২ অপরাহ্ন
ঢাকা বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্তকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে দেশত্যাগের চেষ্টা করার সময় আটক করা হয়। মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত পাবনা পৌর এলাকার নয়নামতি এলাকার মোকাররম হোসেনের ছেলে। 


পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তারের পর খবর পাওয়া যায় যে সীমান্তের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে পাবনা শহরের ৪ আগস্টের হামলার ঘটনায় হত্যা মামলা রয়েছে। পাবনা পুলিশ তার বিরুদ্ধে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং ঢাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হবে। 


গত বছরের ৪ আগস্ট পাবনা শহরের আবদুল হামিদ সড়কের ট্রাফিক মোড় এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা হয়। ওই সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা এলোপাতাড়ি গুলি চালায়, যার ফলে ঘটনাস্থলে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয় এবং অসংখ্য শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়। নিহতরা হলেন জাহিদুল ইসলাম (১৯) এবং মাহবুব হাসান নিলয় (১৪)। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত অন্যতম আসামি। 


এ ঘটনার পর থেকেই মীর রাব্বিউল ইসলাম সীমান্ত পলাতক ছিলেন। তাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের একটি টিম ঢাকা থেকে পাবনার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। এদিকে, সীমান্তের গ্রেপ্তার হওয়া বিষয়টি পাবনার জনমনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এবং এলাকাবাসী এই গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানিয়েছে। 


পাবনা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্তের বিরুদ্ধে যে মামলা রয়েছে, তার বিচার কার্যক্রম দ্রুততার সাথে চালানো হবে। তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে, তাকে পাবনা নিয়ে এসে আদালতে প্রেরণ করা এবং মামলার তদন্তের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। 


এদিকে, সীমান্তের গ্রেপ্তারের পর তার পরিবারের সদস্যরা এখনও কিছু মন্তব্য করতে পারেনি। পাবনার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত করবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। 


এই গ্রেপ্তারকে এক ধরনের সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করছে পাবনার পুলিশ, কারণ সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন এবং তার গ্রেপ্তার অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং ছিল।