শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫১৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

https://enews71.com/storage/ads/01JWDYBEN0YKRDEYVYW9JCHXDC.jpg
সম্পাদকীয়

শেষের দিনগুলোতে বঙ্গবন্ধুর মুখোমুখি যারা

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৩, ১:৩৪

শেয়ার করুনঃ
শেষের দিনগুলোতে বঙ্গবন্ধুর মুখোমুখি যারা
বঙ্গবন্ধু
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

ছিলেন তিনি ক্ষণজন্মা পুরুষ। হিমালয়ের চেয়ে উঁচু যার ব্যক্তিত্ব ও সাহস। নিজ জাতিকেও করে তুলেছিলেন সাহসী যোদ্ধা। স্বাধীন দেশে ষড়যন্ত্রকারীরা শান্তিতে দেশ পরিচালনা করতে দেয়নি। কেমন কেটেছে শেষের দিনগুলো? রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শেষের দিনগুলো কেমন ছিল? ঘাতকের নিঃশ্বাস কি তিনি অনুভব করতে পেরেছিলেন? ‘নাগিনীরা চারিদিকে ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস’; যিনি নিজেই জনসভায় আবৃত্তি করতেন, তিনি কি টের পাবার সময়টুকু পেয়েছিলেন যে ঘাতকরা যে কোনো সময়, যে কোনো মুহূর্তেই আঘাত হানবে? বিশ্বাস তো ছিল তার প্রখর যে, কোনো বাঙালি তাকে হত্যা দূরে থাক, আঘাত করার মতো মানসিকতা রাখে না। ভেবেছিলেন ‘সাড়ে সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধ জননী, রেখেছো বাঙালি করে, মানুষ করো নি’র বিপরীতে তার বাঙালি মানুষে পরিণত হয়েছে; সুতরাং মনুষ্যবিবর্জিত কোনো কর্মকাণ্ড বাঙালি করবে— এ ছিল ভাবনার জগতে অস্পৃশ্য। অথচ বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। ঘাতকরা তখনো ‘শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস’ করে অস্ত্র শানিয়ে যাচ্ছে ষড়যন্ত্রের নানা ঘুঁটি পাকিয়ে। দেশজুড়ে নানা রকম অস্থিরতা, অরাজকতার যে ডালপালা ছড়িয়ে ছিটিয়ে, তা নিরসনের পদক্ষেপগুলো দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। তার প্রতিটি পদক্ষেপই ছিল শান্তি পরিবেশ সৃষ্টির। আর এই সময়টাতে তিনি দ্রব্যমূল্যকে নিয়ে এসেছিলেন নিয়ন্ত্রণে। সব কিছু সুনসান হয়ে ওঠার মুহূর্তগুলো ধরা দিতে থাকে ক্রমশ।

শেষের দিনগুলোতে খুনিদের সহযোগী, পরামর্শকরাও দেখা-সাক্ষাৎ করেছেন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে। তারা কি ঘটনাপূর্ব ‘রেকি’ করছিলেন নাকি সবটাই দাফতরিক কাজ ছিল, তা স্পষ্ট হয় পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সদস্য। এই হত্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির নেপথ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে জড়িত ছিল দেশি-বিদেশি অনেক কুশীলব। সেসব ক্রমশ প্রকাশিত হয় এখনো। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। কিন্তু হত্যার ষড়যন্ত্র আজও সম্পূর্ণ ও সঠিকভাবে অনুদ্ঘাটিত।

আরও

দেশ পুনর্গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা অপরিহার্য

দেশ পুনর্গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা অপরিহার্য

১৯৭৫ সালের ১ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত দু’সপ্তাহের দিনগুলোতে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু কাটিয়েছিলেন খুবই ব্যস্ত সময়। সরকারি কর্মসূচির বাইরেও গঠিত নতুন দল বাকশালের পূর্ণাঙ্গ ‘সেট আপ’ তৈরিতেও ছিলেন ব্যস্ত। পাশাপাশি খুনিরাও ছিল অপতৎপরতায় লিপ্ত।

রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের ১৪ দিনের সরকারি কর্মসূচির তালিকা পর্যালোচনা করলে বিস্ময় জাগে যে, শেষের সেই দিনগুলোতে ব্যস্ততার মাঝেও কেটেছে রাষ্ট্রনায়কের বিচিত্র মানুষের সংস্পর্শে। নেতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল এমন লোকজন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও শেষ দিনগুলোতে তাকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দিয়েছে, এমনটা নয়। নানামুখী চাপ তার স্কন্ধজুড়ে তখন।

আরও

জঙ্গি নাটক: মিথ্যার আড়ালে ক্ষমতার লোভে চালানো অন্যায়

জঙ্গি নাটক: মিথ্যার আড়ালে ক্ষমতার লোভে চালানো অন্যায়

বিস্ময় বাড়ে যে, বঙ্গবন্ধুর এই সময়ের সাক্ষাৎপ্রার্থী, যারা নেতার সান্নিধ্য পেতে ভিড় করেছিলেন তাদের অনেককেই দেখা গেছে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতের পর তার খুনি ও শত্রুদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ ও হাতে হাত মেলাতে, দখলদার সরকারের মন্ত্রী হতে। ছিল যারা তার পরিষদ। আরও বিস্ময় জাগায় যে, বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে যেসব দেশ বা তার রাষ্ট্রদূতরা নানাভাবে জড়িত তা ক্রমশ প্রকাশিত হচ্ছে এই একুশ শতকে এসেও। ফাঁস হচ্ছে ষড়যন্ত্রের নানাবিধ জাল। দেখা যায়, শেষের দিনগুলোতে তাদের কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন, কথা বলেছেন। তারা রাষ্ট্রপতি মুজিবের মানসিক অবস্থা বুঝতে দেখা করেছিলেন সম্ভবত। অনুমান করা যায়, তাদের এই সাক্ষাৎ বঙ্গবন্ধুর ভেতরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ‘ঝোপ বুঝে কোপ মারার’ মতোই ছিল হয়তো।

কর্মসূচি ছিল ১৫ আগস্ট সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বঙ্গবন্ধু। তার একদিন আগে ১৩ আগস্ট রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ১৫ আগস্টের দশদিন আগে ৫ আগস্ট দেখা করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইএ বোস্টার। সর্বশেষ সাক্ষাৎপ্রার্থী ছিলেন ১৪ আগস্ট সাংসদ অধ্যাপক আজরা আলী, যিনি ১৫ আগস্ট মোশতাকের পার্শ্বচর হয়ে যান। এমনকি খুনিদের পক্ষে সাফাই গেয়ে অন্য সাংসদদের মোশতাকের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। পরবর্তীতে তিনি মোশতাকের দল ডেমোক্র্যাটিক লীগও করেন। প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী নুরুল ইসলাম চৌধুরী সর্বাধিক সাক্ষাৎ করেছেন একা বা তিন বাহিনী প্রধানকে নিয়ে পৃথকভাবে।

রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের দৈনন্দিন সরকারি কর্মসূচিতে নজর দিলে দেখা যায়, সাক্ষাৎপ্রার্থীরা সাক্ষাৎকালে বেশি সময় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন, তা নয়। ১৫ হতে ২৫ মিনিট সময়কাল তারা অতিবাহিত করেন। স্বল্প সময়ে তারা কি হাসিল করেছেন তা স্পষ্ট হয় তাদের পরবর্তী কার্যক্রমে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কর্মরত অনেকেই পরে খুনিদের সঙ্গে হাতও মেলায়। সর্বশেষ দিন ১৪ আগস্টের তালিকা হতে পেছনের দিকে গেলে ভেসে আসে অনেক নাম, যাদের স্বরূপ উন্মোচিত হয় ১৫ আগস্টের পর।

১৪ আগস্টের তালিকায় দেখা যায় দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক চুং হির বিশেষ দূত সাক্ষাৎ করেন। সকাল ১০টায় নৌবাহিনী প্রধান দেখা করেন, যিনি ১৫ আগস্ট সকালে বেতারে গিয়ে মোশতাকের প্রতি আনুগত্যের ঘোষণা দেন অন্য বাহিনী প্রধানদের সঙ্গে। ওই দিন সকাল সাড়ে দশটায় খুনিদের অন্যতম সহযোগী বেতার ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুর এবং সকাল ১১টায় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামের পটিয়ার নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিমানবাহিনীর প্রধান একে খোন্দকার দেখা করেন । তাদের এই সাক্ষাতের ১৮ ঘণ্টা পর বঙ্গবন্ধু খুন হন। বিমানবাহিনী প্রধান ১৫ আগস্ট সকালে মোশতাকের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন। প্রতিমন্ত্রী পরে মোশতাকের মন্ত্রী হন। সকাল সাড়ে ১১টায় দেখা করেন জাতীয় লীগ সভাপতি আতাউর রহমান খানের দুই কন্যা। এদের জামাতারা এবং সহোদররা পরে বিএনপিতে যোগ দেয়। বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বোস প্রফেসর ড. আবদুল মতিন চৌধুরী দেখা করে পরদিন সমাবর্তন আয়োজন সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করেন। সর্বশেষ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎ করেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক আজরা আলী এবং শ্রীমতি সুপ্রভা মাঝি। আজরা আলী মোশতাকের ডেমোক্রেটিক লীগের নেত্রী হয়েছিলেন। সুপ্রভা সম্পর্কে পরে কিছু জানা যায়নি। অনুমান করা যায়, আজরা আলী সেদিন বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে হয়ত এমন তথ্য নিয়েছেন যা হত্যাকারীদের পরিকল্পনায় কাজে লেগেছে।

১৩ আগস্ট ১৯৭৫, ছিল বুধবার। সকাল ১১টায় যুক্তরাষ্ট্রে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আর সিদ্দিকী বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চাঁদপুরের এমপি এম এ রব সাক্ষাৎ করেন।

মঙ্গলবার ১২ আগস্ট সকাল ১০টায় সাক্ষাৎ করেন অর্থমন্ত্রী ড. আজিজুর রহমান মল্লিক, যিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী কর্নেল ফারুকুর রহমানের সম্পর্কে আপন খালু এবং মোশতাকের অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিন দিন পর ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় শপথ নেন যখন বঙ্গবন্ধুর লাশ সিঁড়িতে। সন্ধ্যা ৬টায় দেখা করেন সফররত কমনওয়েলথ সেক্রেটারি অধ্যাপক এ এফ হোসেন, যিনি পাকিস্তানি।

শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ আলী ১১ আগস্ট সোমবার সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বাকশালের অঙ্গ সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠকারী। এই সাক্ষাতের ৪ দিন পর তিনি মোশতাকের মন্ত্রী হন। পরে জিয়াউর রহমানেরও শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎ করেন কর্মকমিশনের সদস্য আযহারুল ইসলাম।

রোববার ১০ আগস্ট ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। পাকিস্তান জামানা থেকে এই ছুটি বহাল ছিল। এরশাদ যুগে রোববার ছুটি বাতিল হয়। ৯ আগস্ট শনিবার বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার স্থানীয় প্রতিনিধি ড. স্যাম স্ট্রিট সকাল ১০টায় সাক্ষাৎ করেন। আর সকাল ১১টায় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউল্লাহ। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সন্ধ্যা ৬টায় বাকশালের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসহ অন্যরা সাক্ষাৎ করেন। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর বাকশাল নেতাদের প্রতি শেষ ভাষণ। সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় এ্যাটর্নি জেনারেল দেখা করেন।

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

৮ আগস্ট ছিল শুক্রবার। সকাল ১০টায় প্রথম ও দ্বিতীয় কর্মকমিশনের চেয়ারম্যানদ্বয় দেখা করেন। সকাল সাড়ে দশটায় রেল প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ আলতাফ হোসেন এবং সাড়ে ১১টায় পানি, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মোমিনউদ্দিন আহমদ সাক্ষাৎ করেন। এরা দু’জন পরে মোশতাকের মন্ত্রী হন। সৈয়দ আলতাফ ছিলেন ন্যাপ (মুজাফফর) নেতা।

৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সুইজারল্যান্ডের নয়া রাষ্ট্রদূত পরিচয়পত্র পেশ করেন বঙ্গবন্ধুর কাছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে ‘প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ডে’ রূপান্তর করার যে স্বপ্ন দেখেন, তা ব্যক্ত করেন। পরদিন সংবাদপত্রে তা ছাপা হয়। সকাল সাড়ে দশটায় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী নুরুল ইসলাম চৌধুরী, ১১টায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজী সাক্ষাৎ করেন। এরা দু’জনে পরে মোশতাকের মন্ত্রী হন। বেলা ১২টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন বিদেশ সফরের প্রাক্কালে সাক্ষাৎ করেন, যা ছিল শেষ সাক্ষাৎ। এই দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার সমর সেন সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাতকালে মিস্টার সেন সতর্ক করেছিলেন বঙ্গবন্ধুকে নানা ষড়যন্ত্র সম্পর্কে। প্রতিক্রিয়াশীল চক্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলে তাদের কাছে তথ্য ছিল। সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় সদস্য আবদুল আওয়াল এবং ৬টা ১০ মিনিটে কাজী মোজাম্মেল হক এমপি সাক্ষাৎ করেন।

৬ আগস্ট বুধবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে সংস্কৃতি, তথ্য ও বেতারমন্ত্রী কোরবান আলী ও প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুর এবং সচিব মতিউল ইসলাম দেখা করেন।

৫ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সাক্ষাৎ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইএ বোস্টার। বোস্টার জানতেন খুনীদের তৎপরতা। তিনি শেখ মুজিবকে ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক করেননি। বরং ঘটনার অনুচক্র হিসেবে তার ভূমিকা পরে প্রকাশিত হয়েছে, হচ্ছে, হবে। হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার নেপথ্যে তার ভূমিকার কথা সর্বজনবিদিত। সাড়ে দশটায় সাক্ষাৎ করেন শিল্পমন্ত্রী। বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে সিলেটের সাংসদ মোহাম্মদ ইলিয়াস, কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী ও গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী সাক্ষাৎ করেন। এই তিন সাংসদের কেউই মোশতাককে সমর্থন করেননি; না করায় মানিক চৌধুরীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়। এদিন সন্ধ্যা ৬টায় ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামসুর রহমান বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন এবং গাইডলাইন নেন। ২০ আগস্ট তিনি মোশতাক সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সাক্ষাৎ করেন বেতারের ডিজি আশরাফুজ্জামান খান।

৪ আগস্ট সোমবার। সকাল ১০টায় দেখা করেন পাকিস্তান ফেরত মেজর জেনারেল মাজেদুল হক। ঢাকায় আসার আগের দিনও পাকিস্তান সরকারের অধীনে চাকরি করেছেন। ঢাকায় স্ক্রিনিং বোর্ড তাকে বাদ দেয়। কিন্তু তদবিরে সফল হয়ে সেনাবাহিনীর চাকরি ফিরে পান। পরে জিয়া-খালেদার মন্ত্রী হন। এই দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় মোয়াজ্জেম আহমদ চৌধুরী, সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় কৃষক লীগ নেতা রহমত আলী এমপি সাক্ষাৎ করেন। তিনি মোশতাকের ‘স্বনির্ভর বাংলাদেশ’ কর্মসূচীর কর্ণধার ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে মস্কোতে নিয়োগপ্রাপ্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত শামসুল হক সাক্ষাৎ করেন।

২ আগস্ট শনিবার সকাল পৌনে দশটায় উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ইয়াং ফপ দেখা করেন। সাড়ে দশটায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কফিলুদ্দিন মাহমুদ, সন্ধ্যা ৬টায় সাবেক এমসিএ মোশাররফ হোসেন চৌধুরী এবং সোয়া ৬টায় সিলেটের মোস্তফা শহীদ এমপি সাক্ষাৎ করেন।

১ আগস্ট শুক্রবার দুপুর ১টায় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী নুরুল ইসলাম চৌধুরী এবং দুপুর দেড়টায় পাহাড়ী নেতা মংপ্রু সাইন সাক্ষাৎ করেন।

রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের এই সরকারী কর্মসূচীর বাইরেও অনেক অনির্ধারিত কর্মসূচী থাকত। নির্ধারিত তালিকার বাইরেও অনেক সাক্ষাৎপ্রার্থী আসত। সাধারণত তিনি কাউকে ফিরিয়ে দিতেন না। বাসায়ও দর্শণার্থীর ভিড় থেকেই যেত এবং এটা ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরার পর হতেই।

বঙ্গবন্ধুর দৈনন্দিন কর্মসূচীর যে বিবরণী পাওয়া যায়, তাতে একাধারে বাংলা, খ্রিস্টীয় ও আরবি সন তারিখ মাসের উল্লেখ থাকত। সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের সময়ও।

১ থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি সাক্ষাৎ করেছেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী নুরুল ইসলাম চৌধুরী, যিনি মোশতাকের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ও দায়িত্ব পালন করেন। আর এই মন্ত্রীর অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর বিপথগামী একাংশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। হত্যার ষড়যন্ত্র উদ্ঘাটিত হলে অনেক ঘটনা, ব্যক্তি বিশেষের ভূমিকা সবই প্রকাশিত হতো। কিন্তু সে কাজটি আজও হয়নি। বর্তমান সরকার দেশ, জাতির স্বার্থে হত্যা-ষড়যন্ত্রের ইতিহাস প্রকাশ করতে পারে।

লেখক: জাফর ওয়াজেদ, মহাপরিচালক, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি)

জনপ্রিয় সংবাদ

সেনা অভিযানে চাউল আত্মসাতের অভিযোগে ফতেহাবাদ ইউপিতে তল্লাশি

সেনা অভিযানে চাউল আত্মসাতের অভিযোগে ফতেহাবাদ ইউপিতে তল্লাশি

দেবীদ্বারে যানজট কমাতে মহাসড়কে ডিভাইডার নির্মাণ কাজ শুরু

দেবীদ্বারে যানজট কমাতে মহাসড়কে ডিভাইডার নির্মাণ কাজ শুরু

চা শ্রমিকদের ৭ দফা দাবিতে শ্রীমঙ্গলে কনভেনশন ও লাল পতাকা মিছিল

চা শ্রমিকদের ৭ দফা দাবিতে শ্রীমঙ্গলে কনভেনশন ও লাল পতাকা মিছিল

সরাইলে ভূমি মেলায় আধুনিক সেবার বার্তা

সরাইলে ভূমি মেলায় আধুনিক সেবার বার্তা

 আসাদুজ্জামান খান কামালের বেঙ্গালুরুতে মৃত্যুর দাবিতে তোলপাড়

আসাদুজ্জামান খান কামালের বেঙ্গালুরুতে মৃত্যুর দাবিতে তোলপাড়

সর্বশেষ সংবাদ

বিদেশে গিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছেন ড. ইউনূস-মির্জা আব্বাস

বিদেশে গিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছেন ড. ইউনূস-মির্জা আব্বাস

পদ হারিয়ে ভোরে দেশ ছেড়েছেন ফারুক আহমেদ !

পদ হারিয়ে ভোরে দেশ ছেড়েছেন ফারুক আহমেদ !

ঢাকার খুচরা বাজারে মাংসের দামে ভোক্তাদের স্বস্তি ব্রয়লার মুরগিতে

ঢাকার খুচরা বাজারে মাংসের দামে ভোক্তাদের স্বস্তি ব্রয়লার মুরগিতে

নোয়াখালীতে ভারী বর্ষণে জনদুর্ভোগ চরমে

নোয়াখালীতে ভারী বর্ষণে জনদুর্ভোগ চরমে

মৌলভীবাজারে গাঁজাসহ দুই যুবক আটক

মৌলভীবাজারে গাঁজাসহ দুই যুবক আটক

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

সীমান্তে ভারতীয় পুশ-ইন: বাংলাদেশে নতুন শরণার্থী সংকট আসছে কি ?

সীমান্তে ভারতীয় পুশ-ইন: বাংলাদেশে নতুন শরণার্থী সংকট আসছে কি ?

সম্প্রতি ভারত থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে কথিত ‘পুশ-ইন’ বা জোরপূর্বক অনুপ্রবেশের ঘটনা বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছি। দেশের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষ থেকে পরিকল্পিতভাবে হাজার হাজার লোক বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। যদি এই বিষয়টিকে এখনই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা না হয় এবং ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে জোরালো আলোচনা না হয়, তাহলে বাংলাদেশকে

ড.মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের পুনর্জাগরণ

ড.মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের পুনর্জাগরণ

বাংলাদেশের মানুষ আজ নতুন করে উপলব্ধি করছে—একজন জ্ঞানী, সম্মানিত ও বিশ্বস্বীকৃত রাষ্ট্রনায়কের নেতৃত্ব কেমন হয়, আর রাজনীতিকদের ক্ষমতালিপ্সু নেতৃত্বের মধ্যে পার্থক্য কতটা গভীর। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ, শান্তিকামী নেতার মতোই রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেও ড. মুহাম্মদ ইউনুস সামনে এনেছেন একেবারে নতুন এক বাংলাদেশ—যেখানে রাষ্ট্রচিন্তা কৌশলে ভরা, কূটনীতি সুদূরপ্রসারী এবং রাষ্ট্রের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নিরলস চেষ্টা দৃশ্যমান। সম্প্রতি ইউরোপ-আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধানদের হাতে ‘জুলাই বিপ্লব’ নিয়ে প্রকাশিত দুর্লভ ছবির

“এই মুহূর্তটি একদিনে গড়ে ওঠেনি—এর পেছনে লুকিয়ে আছে দীর্ঘ সময়ের হিসেব-নিকেশ।”

“এই মুহূর্তটি একদিনে গড়ে ওঠেনি—এর পেছনে লুকিয়ে আছে দীর্ঘ সময়ের হিসেব-নিকেশ।”

এর পেছনে রয়েছে বহুদিনের ষড়যন্ত্র, বহু রাতের আঁধারে চলা গোপন আঁতাত। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরই শুরু সেই অধ্যায়—অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক, নানা রকম ছক আঁকা, সংবিধান মেনে শপথ নেওয়া একটি  সরকারকে উৎখাতের নীলনকশা। প্রথমে ইউনূসকে জঙ্গি, মৌলবাদী আখ্যা দেওয়া হলো। তারপর গরু ছাগলের মতো ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হিন্দু নির্যাতনের মিথ্যা গল্প সাজানো হলো। কোটি কোটি ডলার খরচ করে

"ঈদের খুশিতে রেমিট্যান্সের ছোঁয়া: প্রবাসীদের অবদান ও অর্থনীতির প্রভাব"

"ঈদের খুশিতে রেমিট্যান্সের ছোঁয়া: প্রবাসীদের অবদান ও অর্থনীতির প্রভাব"

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই বন্ধন ,ঈদ মানে  উৎসব ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুখস্মৃতি। আর এই আনন্দের অন্তরালে রয়েছে লাখো প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরলস পরিশ্রম ও ত্যাগ। দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বিশেষ করে ঈদের আগে বাজারে প্রাণসঞ্চার করেছে। পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর পাশাপাশি অর্থনীতি চাকা সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে দেশের

রাজনীতির নীতি: ভুলের খেসারত দেশকে কী দেয়?

রাজনীতির নীতি: ভুলের খেসারত দেশকে কী দেয়?

রাজনীতি, রাজার নীতি। এটি একটি গভীর অর্থপূর্ণ উক্তি যা আমাদের দেশের রাজনৈতিক পরিবেশের বাস্তবতা তুলে ধরে। রাজনীতির জগতে কোনো একটি ভুল সিদ্ধান্ত বা আচরণ কেবল ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়, এটি দেশের জনগণের ভবিষ্যতকেও বিপদে ফেলে দিতে পারে। একটি অল্প সময়ের ভুল কিংবা অসাবধানতা সমস্ত সিস্টেমকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে। ২০২৪ এর  ২৪ আগস্ট মাসে ঘটেছে তেমনই একটি ঘটনা যা রাজনীতি এবং