ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার সদর সৈয়দ টুলা গ্রামে নোয়াহাটি এক শিশুকে হত্যা করে লাশ বাশঁঝাড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সন্দেহে তিনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের আব্দুল কাদিরের শিশু কন্যা তাসফিয়ার(৯) হত্যা করার পর বাশঁঝাড়ের পিছনে পরিত্যক্ত স্হানে ফেলে যায়।
পুলিশ এ ঘটনায় একই এলাকার মতিন মিয়ার মেয়ে রনি বেগম(২০), মীর শাহবাজ আলীর পুত্র হোসেন(১৭) ও আল আমিন মিয়ার পুত্র জামিরসহ ৩জনকে আটক করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ এ এম এম নাজমুল আহমেদ জানান, পারিবারিক ভাষ্যমতে আটক তিনজন ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় হত্যা মামলার দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বুধবার(১৭ মার্চ) সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও তাসফিয়ার পারিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়,মঙ্গলবার(১৬মার্চ) সন্ধার পর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় তাসফিয়া।
পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা অনেক খোঁজাখোঁজি করেও তাসফিয়ার কোনো সন্ধান পায়নি। রাতেই তাসফিয়া নিখোঁজের বিষয়ে সন্ধান চেয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়। নিখোঁজ তাসফিয়ার পিতা আব্দুল কাদির পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রি। তাঁর ১মেয়ে ও ১ পুত্রের মধ্যে তাসফিয়া বড়। সে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। কয়েক মাস পূর্বে পরিবারের পক্ষ থেকে তাসফিয়ার কানে স্বর্ণের অলংকার কিনে দেওয়া হয় বলে জানান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।