হিলি সীমান্তে রেল ব্রিজ সংস্কারে বিএসএফের বাধা!

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, নিজস্ব প্রতিনিধি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: রবিবার ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৫:১৫ অপরাহ্ন
হিলি সীমান্তে রেল ব্রিজ সংস্কারে বিএসএফের বাধা!

দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে রেল ব্রিজের সংস্কার কাজে বাধা দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত ১০ ফেব্রুয়ারি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সংস্কার কাজ শুরু করতে গেলে বিএসএফ তাদের বাধা দেয়। এরপর ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো সমাধান হয়নি, যার ফলে সংস্কার কাজ এখনো বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।


শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনায় বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে দুই পক্ষের আলোচনা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়, যার ফলে ব্রিজের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এই রেললাইনটি উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের একমাত্র রুট হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।


হিলি সিপি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘আমরা সীমান্ত এলাকায় বসবাস করি, আমাদের সীমানায় কাজ করবো, তাতে বিএসএফ কেন বাধা দিচ্ছে তা বোধগম্য নয়। কয়েক দিন আগে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করলেও বিএসএফের বাধার কারণে সেটি বন্ধ হয়ে যায়।’


এ বিষয়ে হিলি আইসিপি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শাহাদাৎ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।


হিলি রেলওয়ের এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘ঘটনাটি সত্য। আমরা ব্রিজের সংস্কার কাজ করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু বিএসএফ বাধা দিয়েছে। আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে।’


স্থানীয়দের অভিযোগ, সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উন্নয়নমূলক কাজ করার ক্ষেত্রে বিএসএফের বাধা দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রাস্তা ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিএসএফের আপত্তির কারণে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।


বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়েছে এবং কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে দ্রুত সিদ্ধান্ত না হলে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর রেল যোগাযোগ ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


এদিকে, সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষ দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনসহ সার্বিকভাবে রেল যোগাযোগ ব্যাহত হবে, যা অর্থনীতির ওপরও প্রভাব ফেলবে।