আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা টু উজিরপুর সড়কের দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা বহু মরা গাছ এবং তাদের ডাল পথচলতি মানুষের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে। সড়কের পাশে অসংখ্য বড় শিশু গাছ রয়েছে, যার অধিকাংশই কয়েক বছর আগে মারা গেছে। এই গাছগুলোর শাখা-প্রশাখা ও ডাল মাঝেমধ্যে ভেঙে পড়ে সড়কে, যার ফলে সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যায়। এ পরিস্থিতি বারবার সড়ক দুর্ঘটনা এবং যানবাহন ও পথচারীদের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সড়কে চলাচলকারী মানুষ ও যানবাহন তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সম্প্রতি, বুধহাটা দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদের কাছে গাছের একটি বড় ডাল ভেঙে সড়কের ওপর পড়ে। সৌভাগ্যবশত, তখন কোন যানবাহন বা পথচারী এর নিচে চাপা পড়েনি। তবে ডাল পড়ে যাওয়ায় সড়ক বন্ধ হয়ে যায় এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের নিজেদের উদ্যোগে ডালগুলো কেটে সড়কটি পরিষ্কার করে পুনরায় যানবাহন চলাচল শুরু করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কের দুইপাশে যেসব গাছ দাঁড়িয়ে আছে, তা মূলত শিশু গাছ হলেও তাদের বয়স অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন সেগুলো মরিয়ে গিয়েছে এবং বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া, সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা এসব গাছের ডাল যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে, যা পথচারীদের এবং যানবাহনের জন্য বড় বিপদের কারণ হতে পারে। যদিও একাধিকবার জেলা পরিষদে এসব গাছ অপসারণের জন্য আবেদন করা হয়েছে, তবুও কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তারা বারবার জেলা পরিষদের কাছে গাছগুলো অপসারণের জন্য অনুরোধ জানালেও, কোনো কাজ হচ্ছিল না। তাদের দাবি, দ্রুত এসব গাছ অপসারণ করা উচিত, যাতে সড়কে চলাচলকারী জনগণ নিরাপদে চলাচল করতে পারে এবং সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো যায়। এলাকার বাসিন্দারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গাছগুলো দ্রুত অপসারণের জন্য তাগিদ জানাচ্ছেন, যাতে তাদের জীবন রক্ষা করা যায়।
এ ঘটনায় স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা মনে করেন, যদি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিত, তাহলে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো। এলাকাবাসী শঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, যদি আরো বিলম্ব হয়, তবে মড়ার গাছের ডাল আরো বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।