শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, ঢাকা শহরের সাত কলেজকে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার জন্য একটি বিশেষ কমিটি কাজ করছে। তিনি বলেন, এ উদ্যোগটির মাধ্যমে সাত কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে এবং এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাদের পরিচালনা করা হবে। তবে তিনি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদানের সুযোগ নেই বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি গতকাল রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) একনেক মিটিং শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের অধিকার, তবে তাদের কর্মসূচি জনদুর্ভোগের কারণ হতে পারে, এমন বিষয়ে সচেতন হতে হবে। শিক্ষার্থীদের দাবি হতে পারে, তবে তাদের চলমান কর্মসূচি শিক্ষাজীবনে কোনো ক্ষতি না করে হওয়া উচিত।
অধ্যাপক মাহমুদ আরও বলেন, তিতুমীর কলেজের অনেক শিক্ষার্থী পুনরায় ক্লাসে ফিরে যেতে চায়। তারা অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এবং দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে চায়। শিক্ষার্থীরা চায় না তাদের আন্দোলনের কারণে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হোক। এই অবস্থায় আন্দোলন করলেও তাদের ভবিষ্যৎ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া, তিনি সাফ জানান, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা বিষয়ক বিষয়ে কোনো অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে না। সরকারের উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখা, তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের মঙ্গলার্থে নেওয়া হবে।
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত কলেজের সম্পর্ক খুব একটা সুদৃঢ় নয়, এবং দুই পক্ষ একে অপরকে তেমন চায় না। তবে তিনি উল্লেখ করেন, সাত কলেজগুলোকে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে, যার ফলে নতুন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।
এদিকে, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে সময় বেঁধে দেওয়া নিয়ে ড. মাহমুদ বলেন, দাবি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে খুবই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। কিছু বিষয় সময়সাপেক্ষ এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তবে, তিনি আশ্বাস দেন যে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবির প্রতি সরকার সচেতন থাকবে।
এখনও পর্যন্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে, তবে এ বিষয়ে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতিবাচকভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে। ড. মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ থাকার স্বাভাবিক বিষয়, তবে এটি সমাধানের জন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
এভাবে, সাত কলেজের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা এবং শিক্ষার্থীদের দাবি দুটোই এখন আলোচনার প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।