রাজধানীর শাহবাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রার্থীদের আন্দোলনে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের সরাতে চেষ্টা করে। তবে আন্দোলনকারীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে অবস্থান অব্যাহত রেখেছেন। সাত দিন ধরে চলা এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা দাবি করছেন, তারা নিয়োগপত্র না নিয়ে ঘরে ফিরবেন না।
এর আগে সকালে আন্দোলনকারীরা জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হন। দুপুরের দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন, এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ তাদের সরাতে জলকামান নিক্ষেপ করলেও আন্দোলনকারীরা পুনরায় অবস্থান নেন। একইভাবে সোমবারও পুলিশের লাঠিচার্জ ও জলকামানের মুখোমুখি হন তারা। সেদিন কয়েকজন আহত ও কয়েকজন আটক হন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৬,৫৩১ জনকে নিয়োগের কথা ছিল। তবে হাইকোর্টের আদেশে তা স্থগিত হয়। আন্দোলনকারীরা বলছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হলেও তৃতীয় ধাপে বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়েছে, যা অযৌক্তিক।
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং এপ্রিলের শেষে ফল প্রকাশ করা হয়। ১২ জুন মৌখিক পরীক্ষার পর ৩১ অক্টোবর ৬,৫৩১ জনকে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করা হয়। তবে ৩১ জন চাকরিপ্রার্থীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ছয় মাসের জন্য নিয়োগ স্থগিত করেন।
চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগ বাতিল হওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব শর্ত পূরণ করেও তারা ন্যায্য নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই সঠিক নিয়োগ কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেওয়ার ফলে আশপাশের সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা সরতে রাজি নন। তাদের দাবি, সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না করলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না এলেও, আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তারা সরকারের আশ্বাসের অপেক্ষায় আছেন। তাদের বক্তব্য, সমস্যার সমাধান না হলে শাহবাগ অবরোধ কর্মসূচি আরও কঠোর হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।