রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোঃ সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার ১০ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৭:৩০ অপরাহ্ন
রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার পর রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক শুরু হয়। বিএনপির পক্ষে বৈঠকে আরও উপস্থিত রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। বিএনপি ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য এ বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। বিশেষ করে সারাদেশে সংঘাত ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করতে চায় দলটি। একইসঙ্গে সরকারের সহযোগিতা ও একটি দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হতে পারে। বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ জানার চেষ্টা করা হবে বলে জানা গেছে।  


সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে বিএনপির প্রতিনিধি দল যমুনায় প্রবেশ করে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান নিশ্চিত করেছেন যে, বৈঠকে মির্জা ফখরুল, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত রয়েছেন। বৈঠকে প্রধানত দেশের চলমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে তিনি জানান। এর আগে, রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই বিএনপি সরকারের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিল। বিশেষ করে দলটির দাবি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রোধ ও একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আলোচনা জরুরি। বিএনপি নেতাদের মতে, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব পক্ষের সমঝোতা দরকার।  


বৈঠকের বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে বিএনপি কিছু প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। বিশেষ করে দলটির নেতারা চান, নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে একটি সমঝোতা হোক। একইসঙ্গে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধে সরকারের কার্যকর ভূমিকা চান তারা। বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির এই বৈঠক রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ চলমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে যে কোনো আলোচনাই রাজনৈতিক সমঝোতার পথ খুলে দিতে পারে।  


এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের আলোচনার সারসংক্ষেপ জানাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে এই বৈঠকের ফলাফল নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিশেষ করে, সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন হবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।