মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শনিবার সকাল ৬টা ও ৯টায় শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে, যা আগের দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। গতকাল সেখানে তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি এবং তার আগের দিন ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র শীতে শ্রীমঙ্গলের চা-বাগান ও কৃষি খাতের শ্রমিকদের কষ্ট বেড়েছে। শীতের কারণে মাঠে কাজ করতে পারছেন না কৃষকরা, দিনমজুররা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। কনকনে ঠাণ্ডায় অনেকেই কাজে যাওয়া এড়িয়ে চলছেন, ফলে দৈনন্দিন আয়-রোজগারে বিপর্যয় নেমে এসেছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, এই তীব্র ঠাণ্ডায় ফসলের উৎপাদন কমতে পারে, কারণ মাঠে কাজ করার মতো শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। হাইল হাওরসহ বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। চাষিরা জানান, প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে ধানের পরিচর্যা ঠিকমতো করতে পারছেন না, যা ফলনে প্রভাব ফেলতে পারে।
দিনমজুর ও পরিবহন শ্রমিকদেরও দুর্ভোগ বেড়েছে। ট্রাকচালকরা জানান, ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে রাতে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হচ্ছে, কারণ সামনের পথ ঠিকভাবে দেখা যাচ্ছে না।
শীতের কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে। অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। দোকানপাট দেরিতে খুলছে, হাটবাজারে মানুষের আনাগোনা কমেছে। এই পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী মানুষদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ হয়ে উঠেছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক জানান, তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের প্রকোপ আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। বিশেষ করে ভোর ও রাতের সময় ঠাণ্ডার তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গলের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রশাসন ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর উচিত দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা। বিশেষ করে যারা খোলা আকাশের নিচে থাকেন, তাদের জন্য জরুরি সহায়তার ব্যবস্থা করা দরকার।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।