শান্তিগঞ্জে এক মাসে দ্বিতীয় ডাকাতি, এলাকার মানুষ আতঙ্কিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: শুক্রবার ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:০৬ অপরাহ্ন
শান্তিগঞ্জে এক মাসে দ্বিতীয় ডাকাতি, এলাকার মানুষ আতঙ্কিত

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ১৫ দিনের ব্যবধানে আবারও একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার ভোররাতে শান্তিগঞ্জের পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ব্রাম্মণগাঁও পয়েন্টে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল চারটি সিএনজি ও একটি মুদি দোকানের মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পরিবহন চালকরা ভয়াবহ আতঙ্কে আছেন।  


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার ভোর ৩টা থেকে ৩:৩০ টার মধ্যে এই ডাকাতি সংঘটিত হয়। প্রথমে নৈশ প্রহরী আফতর আলীকে বাঁধা দিয়ে, তাকে চোখ-মুখ বেঁধে ট্রাকের নিচে ফেলে রেখে ডাকাত দল চোরাই মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। এই চুরির ঘটনা পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।  


ডাকাত দলের সদস্যরা চারটি সিএনজি এবং মুদি দোকানের মালামাল নিয়ে চলে যায়। দোকানের মালিক আল-আমিন বলেন, তার দোকানের আয়-রোজগার ছিল, কিন্তু এখন তার ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। দোকানের ক্যাশ বাস্ক থেকে নগদ টাকা, সিগারেট, বিস্কুটসহ অন্যান্য মালামাল চুরি হয়ে গেছে।  


শান্তিগঞ্জ উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার বলেন, এলাকায় একটি বিশাল চোরচক্র কাজ করছে। স্থানীয় জনগণ এবং ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। শান্তিগঞ্জের এই পয়েন্টে নিরাপত্তাহীনতা বেড়ে গেছে।  


এই একই এলাকায় ২২ জানুয়ারি বাসে গণডাকাতির ঘটনা ঘটে, যেখানে ঢাকাগামী দুটি বাসে ডাকাতি হয়। একই এলাকার জনগণ তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। এলাকার পরিবহন ব্যবসায়ী ও চালকরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি একেবারে কমে গেছে।  


স্থানীয় বাসিন্দারা আরও বলেন, পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে, না হলে ডাকাতি ও চুরির ঘটনা বেড়ে যাবে। এলাকার ব্যবসায়ী, চালক এবং সাধারণ মানুষ সুরক্ষিত না থাকলে তারা আয়-রোজগার চালিয়ে নিতে পারবে না।  


শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম হোসেন ঘটনাটি তদন্তে সহায়তা করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, এটি ডাকাতি নয়, একটি চুরির ঘটনা। যদি কোনো অভিযোগ আসে, তবে তদন্ত করে মামলা নেওয়া হবে। এলাকাবাসী আশা করছেন, পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে এবং অপরাধীদের শনাক্ত করবে।  


অন্যদিকে, স্থানীয় সমাজকর্মী সজীব আহমদ ও পরিবহণ মালিকরা পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, যদি পুলিশ তৎপর না হয়, তবে এলাকায় অপরাধ বৃদ্ধি পাবে।