ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের শমশেরনগর গ্রামে স্থাপিত ‘স্ট্যাচু অব ফ্রিডম’ নামের একটি টাওয়ার ভেঙে ফেলেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা টাওয়ারটিতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
স্থানীয়দের মতে, কয়েক বছর আগে আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ শমসেরের উদ্যোগে ১২৩ ফুট উঁচু এই টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছিল। টাওয়ারটির উপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল স্থাপন করা হয়। সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এটি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিছিলসহ বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা টাওয়ারের সামনে জড়ো হয়। তারা প্রথমে ম্যুরাল ভেঙে ফেলে, এরপর টাওয়ারে অগ্নিসংযোগ করে। পরে বঙ্গবন্ধুর ভাঙা ম্যুরাল বারবাজারে নিয়ে গিয়ে সড়কের ওপরে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা কমিটির অন্যতম সমন্বয়কারী হোসাইন আহমেদ জানান, তারা দেশের ফ্যাসিবাদী শাসনের চিহ্ন মুছে ফেলার লক্ষ্য নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেছেন। তার দাবি, দেশে খুনি শেখ হাসিনার পরিবারের কোনো ম্যুরাল বা স্থাপনা থাকতে দেওয়া হবে না।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। টাওয়ার ধ্বংসের ঘটনায় দায়ীদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।
এদিকে, রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা একে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ঘটনার পর শমশেরনগর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এলাকাবাসীর মধ্যে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এবং সামনের দিনগুলোতে এ ধরনের আরও সহিংসতা দেখা যেতে পারে। প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে না পারলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।