বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের চরমোনাই পীরের সঙ্গে বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: সোমবার ২৭শে জানুয়ারী ২০২৫ ১২:০৯ অপরাহ্ন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের চরমোনাই পীরের সঙ্গে বৈঠক

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্পর্কে রোববার ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। বৈঠকটি রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, বিশেষত জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য ইসলামী দলের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা চলার সময়।


বিএনপির এই বৈঠকটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। গত ২১ জানুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান চরমোনাই পীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, এবং এ সাক্ষাৎ থেকে বেরিয়ে আসা আলোচনাগুলি বেশ কাঠামোগত গুরুত্ব পেয়েছে। একদিকে, ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে, অন্যদিকে বিএনপির সঙ্গে এই রাজনৈতিক আলোচনার তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।


এমতাবস্থায়, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চরমোনাই পীরের সঙ্গে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে, দলের পক্ষ থেকে একাধিক ইসলামী দলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগের মধ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটি বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়, যেখানে বিএনপি ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে।


এই বৈঠকটি জামায়াতের আমিরের সঙ্গে গত ২১ জানুয়ারির সাক্ষাৎ এবং ২৪ জানুয়ারির চরমোনাই পীরের বক্তব্যের পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চরমোনাই পীর বলেছিলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একক বাক্স দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে,” যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এসব বৈঠক ইসলামী দলগুলোর মধ্যে সমন্বয় এবং ঐক্যবদ্ধতা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।


এছাড়াও, বিএনপি তাদের দলের নেতাদের সঙ্গে খেলাফত মজলিসের শীর্ষ নেতাদের ২২ জানুয়ারি বৈঠক করেছে, যা ২০২১ সালের অক্টোবরে জোট থেকে বেরিয়ে আসার পর দলের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে, বিশেষ করে ধর্মভিত্তিক ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এটি রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে আরও কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


এমন পরিস্থিতিতে বিএনপির নেতারা অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা চালানোর পরিকল্পনা করছেন। তাদের এই পদক্ষেপটি রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সাথে সম্পর্কিত নানা আলোচনা সামনে আসতে পারে।