গত তিন দিন ধরে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পর তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে শীতের অনুভূতি একটুও কমেনি, বরং ঘন কুয়াশা এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। তবে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন দিন ধরে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির ঘরে থাকলেও সকালে হালকা তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও কুয়াশা এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে, গত শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর শনিবারে তা কমে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে পড়ে। রোববার সকালে তা ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
তবে সোমবার সকালে জেলার বেশিরভাগ অঞ্চল কুয়াশায় ঢাকা পড়েছিল এবং ঠান্ডা বাতাসের কারণে একদিকে যেমন শীতের তীব্রতা বেড়েছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শহরের রাস্তাগুলোতে গাড়িগুলি হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
এদিকে, শীতের তীব্রতার কারণে হাসপাতালে শীতজনিত রোগী বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বাংলানিউজকে জানান, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আকাশে মেঘ জমেছে এবং একই কারণে ঘন কুয়াশায় পুরো জেলা ঢেকে গেছে। এর পাশাপাশি কনকনে শীতের অনুভূতি কয়েকগুণ বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, জানুয়ারির বাকি সময়েও তাপমাত্রা প্রায় একই থাকবে এবং শীতের অনুভূতি থাকবে।
পঞ্চগড়ের সাধারণ মানুষ শীতের কারণে অতিরিক্ত শীতজনিত রোগের শিকার হওয়ার আশঙ্কায় বেশ সতর্ক রয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে শীতজনিত রোগীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা বজায় রাখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।