গত বছর ৩১ মে’র মধ্যে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের প্রায় ১৮ হাজার কর্মীর। নানা জটিলতার কারণে তারা সেই সময় দেশটিতে যেতে পারেননি। তবে, গত সোমবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানিয়েছেন, প্রথম ধাপে ৭,৯৬৪ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য যোগ্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
মোহাম্মদ রফিকুল আলম আরও জানান, মালয়েশিয়া সরকার কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনকে এ ৭,৯৬৪ জন কর্মীকে দেশটিতে যাওয়ার জন্য নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। তবে, বাকি ১০ হাজার কর্মীর বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এ ঘটনা নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন ইসমাইলকে এ জটিলতার বিষয়টি অবহিত করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে, মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের সমন্বয়ে একটি কারিগরি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। এই কমিটি এক মাসের মধ্যে দুটি বৈঠক করে এবং মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর ১৮ হাজার কর্মীর মধ্যে ৭,৯৬৪ জনকে প্রথম ধাপে যাচাই-বাছাই করে নির্বাচিত করা হয়।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের আগস্টে পুনরায় চালু হয়। ২০২৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত প্রায় ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে পাঁচ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিয়েছেন। তবে, টিকিটের জটিলতা ও অন্যান্য কারণে প্রায় ১৮ হাজার কর্মী দেশটি যেতে পারেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরির অভাবে অনেকেই বিদেশে চাকরির জন্য আবেদন করেন। তাদের মধ্যে অনেকেই মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পেলেও, গত বছর কিছু অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাড়ি দেওয়ার সুযোগ পায়নি। তবে, বর্তমানে যারা যোগ্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, তারা শীঘ্রই মালয়েশিয়ায় কাজের জন্য যাওয়ার সুযোগ পাবেন বলে আশাবাদী।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবশিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।