খাগড়াছড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৫ ইটভাটায় জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আরিফুল ইসলাম মহিন -খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সোমবার ২০শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৪:২৬ অপরাহ্ন
খাগড়াছড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৫ ইটভাটায় জরিমানা

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়ে অবৈধভাবে পরিচালিত পাঁচটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। সোমবার রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতা আফরিন এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের মাধ্যমে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ইটভাটাগুলো জরিমানা করা হয়।  


জানা যায়, উপজেলার সোনাইপুল এবং দাঁতারাম পাড়া এলাকায় অবস্থিত এই ইটভাটাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। অভিযানের সময় ইট পুড়ানোর কাজে ব্যবহৃত টিনের চিমনি ভেঙে ফেলা হয় এবং মালিকদের কাছ থেকে জরিমানার অর্থ আদায় করে তা দ্রুত সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।  


নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতা আফরিন সাংবাদিকদের বলেন, পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবং বায়ুদূষণ রোধে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। তিনি পরিবেশ রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।  


অভিযানকালে বন বিভাগ, পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের টিম উপস্থিত ছিল। তাদের সহযোগিতায় ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য চিমনি ধ্বংস করা হয়। অভিযানের সময় স্থানীয় সাংবাদিকরাও উপস্থিত থেকে পুরো প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন।  


স্থানীয় সূত্র জানায়, এই ইটভাটাগুলো এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছিল। বায়ু দূষণের কারণে আশপাশের বসবাসকারী মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানে সাধারণ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং পরিবেশের সুরক্ষায় এ ধরনের কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন।  


রামগড়ের সোনাইপুল এবং দাঁতারাম পাড়া এলাকায় আরও কয়েকটি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, এগুলোর বিরুদ্ধেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  


পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো এ ধরনের অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছে, বায়ুদূষণ রোধে এমন উদ্যোগ আরও জোরদার করা প্রয়োজন। সরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে এ ধরনের কার্যক্রম চালানো হলে পরিবেশ দূষণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে।  


নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতা আফরিন ভবিষ্যতে পরিবেশ রক্ষায় আরও কঠোর ভূমিকা পালন করবেন বলে আশ্বাস দেন। এর মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা সাধারণ মানুষের আস্থা বাড়িয়েছে।