নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামে ১৮ মাস বয়সী একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে স্থানীয় মনির হোসেনের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশুটির নাম মেয়াদুল ইসলাম, যিনি একই গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) সকালে মেয়াদুলের বাবা, পেশায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক, তাকে চকলেট কিনে দেয়ার জন্য বাড়ির পাশের দোকানে পাঠান। চকলেট নিয়ে শিশুটি তার বোনের সঙ্গে বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর দুপুর ১২টার দিকে শিশুটি বাড়ির উঠানে খেলা করছিল এবং পরে নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজ হওয়ার পর মেয়াদুলের পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি করেন, তবে শিশুটির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। সোমবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে নিহত শিশুটির খালা বাড়ির পাশের দুটি পুকুরের একটিতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান সংবাদমাধ্যমকে জানান, "খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।"
এদিকে, এলাকাবাসী ও নিহত শিশুটির পরিবার নিহতের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, শিশুটির মৃত্যু কোনো অস্বাভাবিক ঘটনার কারণে হতে পারে। পরিবারের সদস্যরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে এর পেছনে কারো ভূমিকা রয়েছে কিনা, তা জানতে চান।
নিহত মেয়াদুলের পিতা মনির হোসেন বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের ছেলে কোনোভাবেই পানিতে পড়ে মারা যেতে পারে না। তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।"
এ বিষয়ে পুলিশ মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের পর শিশুটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।